স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন ফের নামঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (১৮ আগস্ট) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জাজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করেন। ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

তিনি বলেন, বাবুল আক্তারের জামিনের জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালত জামিন নামঞ্জুর করেছেন। আমরা তার জামিনের জন্য পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করব।

এর আগে গত ১০ আগস্ট চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের ভার্চুয়াল আদালত শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে বাবুল আক্তারকে কারাগারে রাখার আদেশ দিয়েছিলেন। গ্রেফতারের পর ওইদিনই প্রথমবারের মতো বাবুল আক্তারের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। 

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু। ওই সময় ছেলে সামনেই দাঁড়ানো ছিল। ওই ঘটনা দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার অবস্থান করছিলেন ঢাকায়। চট্টগ্রামে ফিরে তৎকালীন পুলিশ সুপার ও মিতুর স্বামী বাবুল আক্তার পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জঙ্গিবিরোধী কার্যক্রমের জন্য স্ত্রীকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে মামলায় অভিযোগ করেন তিনি। তবে দিন যত গড়িয়েছে মামলার গতিপথও পাল্টেছে। একপর্যায়ে সন্দেহের কেন্দ্রবিন্দুতে আসে স্বামী বাবুল আক্তারের নাম। তদন্তে তার বিরুদ্ধেই হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১১ মে ডেকে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

১২ মে দুপুরে বাবুল আক্তারকে প্রধান আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার শ্বশুর অর্থাৎ মিতুর বাবা। মামলায় আসামি করা হয় আরও সাতজনকে। তারা হলেন- কামরুল ইসলাম মুছা, কালু, ওয়াসিম, শাহজাহান, আনোয়ার, এহতেসামুল হক ভোলা ও সাকি।

এরপর পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে জবানবন্দি দেওয়ার কথা থাকলেও জবানবন্দি দেননি বাবুল আক্তার। বর্তমানে ফেনী জেলা কারাগারে রয়েছেন তিনি।

কেএম/জেডএস