পাসপোর্ট ভোগান্তির মূল কারণ প্রিন্টিং, সমাধানে কাজ চলছে
দেশ-বিদেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের পাসপোর্ট ভোগান্তির মূল কারণ প্রিন্টিং সমস্যা বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ভোগান্তি সমাধানে কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই পাসপোর্ট প্রিন্টিংয়ের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের নাগরিকরা পাসপোর্ট রিইস্যু করতে পারছেন না। এটা নিয়ে আমরা যথেষ্ট আলাপ করেছি। অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে আমরা কথা বলছি। কারণ অনেক বাঙালি পাসপোর্টটা রিনিউ করতে পারছেন না, পাসপোর্টটা পাচ্ছে না। এর মূল কারণ প্রিন্টিং। এ প্রিন্টিং জটিলতার কারণে পাসপোর্ট আটকে গেছে। দেশেও অনেক নাগরিক পাসপোর্টের আশায় বসে আছেন।
পাসপোর্ট ইস্যু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখভাল করে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, পাসপোর্ট আমরা ইস্যু করি না। এটা পাসপোর্ট অফিস ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। তারা বলেছেন, অ্যাকশন নিয়েছেন, এখন থেকে প্রিন্টিং শুরু হবে। তবে এ সমস্যা শুরুর আগে থেকেই কেন চিন্তা করা হলো না সেটা আমি জানি না।
উল্লেখ্য, পাসপোর্ট অধিদফতরের ঢাকার দফতরের সার্ভারে ত্রুটির কারণে পাসপোর্ট সেবা সীমিত করেছে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর। বাংলাদেশে এই সেবা সীমিত হলেও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে প্রবাসীদের পাসপোর্ট সেবা। ফলে পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখ লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি।
সম্প্রতি মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, লেবাননসহ বেশ কয়েকটি দেশের দূতাবাস থেকে স্ব স্ব দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি প্রবাসীদের নোটিশ দিয়ে পাসপোর্ট দিতে অপারগতার কথা বলা হয়েছে।
এক নোটিশে মালদ্বীপের মালের বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, পাসপোর্টের সার্ভারে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে সাময়িকভাবে পাসপোর্ট গ্রহণ বন্ধ থাকবে। পুনরায় সার্ভার ঠিক হলে তাৎক্ষণিকভাবে সবাইকে অবহিত করা হবে।
কুয়ালালামপুরের হাইকমিশন জানায়, ঢাকায় পাসপোর্টের সার্ভারের ধারণক্ষমতা শেষ হয়ে যাওয়ায় এই মুহূর্তে প্রচুর সংখ্যক পাসপোর্টের আবেদন হাইকমিশনের কাছে জমা আছে। হাইকমিশনের আওতা বহির্ভূত এই সাময়িক জটিলতার জন্য হাইকমিশন আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে। এই কারিগরি সমস্যা সমাধানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর কাজ করে যাচ্ছে। সমস্যা শিগগিরই সমাধান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী সম্প্রতি ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ‘এমআরপি সার্ভারের এফিসিয়েন্সি শেষ। আমাদের পরিকল্পনা ছিল প্রবাসীদের জন্য এমআরপি বন্ধ করে একযোগে ই-পাসপোর্ট চালু করা। তবে করোনার কারণে আমরা এগোতে পারিনি। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা এমআরপির সার্ভারের ধারণক্ষমতা ৫০ লাখ ইউনিট বাড়ানোর জন্য কাজ করছি।’
এনআই/এসকেডি