রোগীর চাপ নেই ঢামেকের করোনা ইউনিটে
মো. আলী (৭০) নোয়াখালী থেকে পাঁচ দিন আগে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল-২ এ করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছিলেন। সোমবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতাল থেকে ছাড় পেয়ে বাসায় চলে যান তিনি।\
মো. আলীই নন গত কয়েক দিন ধরে ঢামেকের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অসংখ্য রোগী। সে তুলনায় করোনা উপসর্গ ও করোনা পজিটিভ রোগী আসছেন কম। গত এক সপ্তাহ ধরে করোনা রোগীর চাপ কমেছে ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কথা হয় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মো. আলীর নাতি সুমনের সঙ্গে, তিনি বলেন, আমর দাদাকে প্রথমে মহাখালী বক্ষব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। পরে করোনা পজিটিভ হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসি। এখন করোনা নেগেটিভ, আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। আজ ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢামেকের ইউনিটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বলেন, আমি সকাল থেকে ডিউটিতে আছি। রোগীর চাপ আগের তুলনায় অনেক কম। সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। আগে সেখানে রোগী আসতেন মিনিটে মিনিটে, সেখানে এখন ঘণ্টায় একজনও আসছে না। এটা আমাদের জন্য একটি ভালো খবর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আনসারের সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকাল থেকে আমরা দুপুর পর্যন্ত ডিউটি করেছি। রোগী আগের তুলনায় নেই বললেই চলে। দিন দিন রোগীর আসার সংখ্যা কমছে। ছুটি হচ্ছে বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ রোগী জন ভর্তি হয়েছেন ঢামেকের করোনা ইউনিটে। ছুটি হয়েছে ২৪ জনের এবং মারা গেছেন ৯ জন। এখন পর্যন্ত ৭৪টি শয্যা ফাঁকা আছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, করোনা রোগীর চাপ আগের তুলনায় কমছে। আগে রোগীর যে চাপ ছিল সেটা আর নেই। আমাদের এখানে রোগী আসলে আমরা ভর্তি নিচ্ছি। এখন আমাদের করোনা ইউনিটে ৭৪টি শয্যা খালি রয়েছে।
এসএএ/এসকেডি