ভাসানচর থেকে পালানোর সময় বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবে নিখোঁজ ২৩ জনের মধ্যে চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৬ আগস্ট) পুলিশ ও কোস্টগার্ড তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।

কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রউফ ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে আজকে (সোমবার) সন্দ্বীপের সারিকাইত এলাকায় সাগর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে কোস্টগার্ডের জাহাজ ‘অপরাজেয় বাংলা’র মাধ্যমে সাগরে তল্লাশি চালিয়ে একজনের ও সন্দ্বীপ পুলিশ একটি মরদেহ উদ্ধার করে। এছাড়া রোববার (১৫ আগস্ট) নৌবাহিনী একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে এখনও কাজ করছে কোস্টার্ডের দুইটি জাহাজ।

সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নুর আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকে (সোমবার) সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের সাগর পাড় থেকে ৪০ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, শুক্রবার (১৩ আগস্ট) গভীর রাতে ভাসানচর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমে বঙ্গোপসাগরে রোহিঙ্গাবোঝাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ২৩ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হন।

শনিবার (১৪ আগস্ট) ভাসানচরের নৌবাহিনীর ক্যাম্প ইনচার্জ শংকর বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, ধারণা করা হচ্ছে, শুক্রবার গভীর রাতে রোহিঙ্গাবোঝাই একটি নৌকা ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয়। ভাসানচর থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা চলার পর নৌকাটি সমুদ্রের বৈরি আবহাওয়ার কবলে পড়ে উল্টে যায়। এতে নৌকাটিতে থাকা অধিকাংশ যাত্রী সাঁতার কেটে আশপাশে মাছ ধরার ট্রলারে আশ্রয় নেন। মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা ১৪ জনকে উদ্ধার করে শনিবার ভোরে ভাসানচরে পৌঁছে দেন। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে নিখোঁজদের সন্ধানে নামে কোস্টগার্ডের ভাসানচর, সন্দ্বীপ ও সারিকাইত স্টেশন।

কেএম/এসকেডি