সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যা বেশি
করোনার রোগীর চাপ কমেছে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে। বর্তমানে সাধারণ বেড খালি রয়েছে প্রায় ৫০টি। এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় যে কয়জন রোগী ভর্তি হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
সোমবার (১৬ আগস্ট) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, জরুরি বিভাগের নিচে করোনা রোগী ভর্তির তথ্য কেন্দ্র থেকে রোগীর সুস্থতার ছাড়পত্র নিয়ে যাচ্ছেন স্বজনরা। দু-একজন চিকিৎসার জন্য ভর্তি হতেও এসেছেন। কেউ কেউ নতুন রোগী নিয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ছোটাছুটি করছেন। অনেকেই ভর্তি হওয়া রোগীর জন্য খাবার নিয়ে অপেক্ষা করছেন।
বিজ্ঞাপন
দুই সপ্তাহ আগেও হাসপাতালটিতে করোনা রোগী নিয়ে অস্থিরতা দেখা গিয়েছিল, কিন্তু আজ তেমন কিছু দেখা যায়নি। এছাড়া তখন হাসপাতালে বরাদ্দ থাকা ৩০০ সাধারণ বেডেই রোগী ভর্তি ছিল অনেক বেশি, যা কিছুটা কমে এসেছে। কুর্মিটোলায় এখন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার সংখ্যাই বেশি।
হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানান, এ হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ৩০০ সাধারণ বেড ছাড়াও আইসিইউর বেড রয়েছে ১০টি। এর মধ্যে বর্তমানে ২৫১টি সাধারণ বেডে করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। আইসিইউতেও ভর্তি রয়েছেন ১০ জন রোগী।
কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৮ জন। আর ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪৪ জন। গত তিন দিন ধরে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়া সুস্থ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া হাসপাতালে মোট অক্সিজেন সিলিন্ডারের রয়েছে ৪৩৯টি আর হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে ৫৭টি।
গত ৪ আগস্ট করোনা রোগী ভর্তি করিয়েছিলেন অভি নামের একজন। আজ ছাড়পত্র নিয়ে স্বজনকে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তিনি। জানতে চাইলে অভি ঢাকা পোস্টকে বলেন, অনেক ভালো সেবা পাওয়ায় আমাদের রোগী সুস্থ হয়েছে। খুব ভালো লাগছে। একটি অস্থির সময়ের মধ্যে গত কয়েকদিন কেটেছে। অনেক খুশি, আজ রোগীকে সুস্থ করে বাড়ি নিয়ে যেতে পারছি।
এ বিষয়ে জানতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের করেও কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এদিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে টিকার জন্য নির্ধারিত ভবনে প্রবাসীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে অনেকেই টিকা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। কেউ কেউ টিকা দেওয়ার জন্য এখনও অপেক্ষা করছেন।
টিকা নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হচ্ছিলেন কুয়েত প্রবাসী মুহাম্মদ রায়হান। আলাপকালে তিনি জানান, অনেক ভালো পরিবেশে টিকা দিতে পেরেছি। এক সময় খুবই টেনশন হচ্ছিল টিকা নিতে পারব কি না। শেষ পর্যন্ত মডার্নার টিকা পেয়েছি।
একে/এসএসএইচ