বর্তমানে ঢামেকের করোনা ইউনিটে ৭২৮ জন রোগী ভর্তি আছেন/ছবি: ঢাকা পোস্ট

ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল-২ করোনা ইউনিটে রোগীর চাপ কমেছে। নেই সারি সারি অ্যাম্বুলেন্স। কয়েক সপ্তাহ আগেও করোনা উপসর্গ ও করোনা পজিটিভ রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ধারণক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত ৫০ বেড যুক্ত করে ভর্তি নেওয়া হয় রোগীদের। তারপরও শয্যা সংকটের কারণে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে অসংখ্য রোগীকে।

তবে আজকের চিত্র কিছুটা ভিন্ন। শনিবার (১৪ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেলে কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল-২ করোনা ইউনিট ঘুরে দেখা যায়, আগের মতো রোগীর চাপ নেই। দীর্ঘক্ষণ পরপর রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স আসছে হাসপাতালে।

সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) মো. জাকির ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে এখানে ডিউটি করছি। আগে যেভাবে রোগীর চাপ ছিল সেটা এখন আর দেখা যায় না। রোগী আসছে তবে সেটা একেবারেই কম।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ট্রলিম্যান বলেন, আমরা ট্রলিতে করে রোগীকে ওয়ার্ডে নিয়ে যেতাম। ট্রলির অভাবে রোগীকে দীর্ঘ সময় অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষা করতে হতো। শয্যা ফাঁকা ছিল না। এখন আমরা ট্রলি নিয়ে অপেক্ষা করি কখন রোগী আসবে। শয্যাও ফাঁকা আছে কয়েকটি।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলাচল ও মানুষের মাঝে মাস্ক পরার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছি। এছাড়া টিকার আওতা বাড়ানোয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে।

এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতাল-২ এর ভারপ্রাপ্ত ওয়ার্ড মাস্টার মো. আবুল হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের এখানে আগে যে পরিমাণ চাপ ছিল তা এখন নেই। আগের তুলনায় রোগীর চাপ কমেছে করোনা ইউনিটে।

কথা হয় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হকের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কমেছে। রোগীর চাপ সামাল দিতে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি নেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগেও আমাদের এখানে ৮৪০ জন রোগী ভর্তি ছিল। তবে এখন রোগীর সংখ্যা কিছুটা কমেছে। বর্তমানে ৭২৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আমাদের এখানে অতিরিক্ত যে শয্যা দেওয়া হয়েছিল সেগুলো আর এখন লাগছে না। তবে সাধারণ শয্যা ফাঁকা হলেও আইসিইউ ফাঁকা থাকছে না।

রোগীর সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে দফায় দফায় সরকার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মানুষের মাঝে মাস্ক পরার প্রবণতা বেড়েছে। সরকার চেষ্টা করছে টিকার আওতা বাড়ানোর। এছাড়া সিজন একটা ফ্যাক্টর। ক্রমান্বয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয়ও সংক্রমণ কমছে। গত বছরও একই সময়ে সংক্রমণের হার কমে গিয়েছিল। এবারও তাই হচ্ছে।

এসএএ/এসকেডি