মন্দির ও হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি
খুলনার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট।
একইসঙ্গে দোকানপাটে হামলা ভাঙচুর, লুঠপাট, মারধর এবং সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্ৰ বর্মনকে নৃশংসভাবে হত্যা, পিরোজপুরের নাজিরপুরে তন্ময় তরুণয়াকে হত্যাসহ বগুড়া ও টাঙ্গাইলে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সংগঠনটির মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্ৰ প্রামাণিক বলেন, করোনা দুর্যোগের মধ্যেও দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বস্তি নেই। গত ৭ আগস্ট খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শেয়ালী গ্রামে দুর্বৃত্তদের হামলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের অর্ধ শতাধিক বাড়িঘর, মন্দির ও প্রতিমা এবং দোকানে ভাঙচুর করা হয়। তারা শুধু ভাঙচুর করেই ক্ষান্ত হয়নি লুঠপাট করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তিনি আরও বলেন, সাভারে অধ্যক্ষ মিন্টু চন্দ্র বর্মন, পিরোজপুরের নাজিরপুরে তন্ময় তরুয়াকে হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের জমি দখল, দেশত্যাগের হুমকি, মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব ঘটনার আসামিদের মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার করে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের সভাপতি অ্যাডভোকেট বিধান বিহারী গোস্বামী, নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, সহসভাপতি প্রদীপ কুমার পাল, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয়কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, যুগ্ম মহাসচিব শ্যামল কান্তি নাগ, অ্যাডভোকেট লাকি বাছাড়, আর্ন্তজাতিক সম্পাদক নরেশ হালদার, অর্থসম্পাদক দীলিপ মণ্ডড প্রমুখ।
এমএইচএন/এসকেডি