চট্টগ্রামের খুলশীতে বাসায় বসে করোনার টিকা নেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার মোবারক আলী ও হাসানের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মোহাম্মদ রেজার আদালত রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মোবারক আলী ও হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও বলেন, বাসায় গিয়ে টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) স্বাস্থ্যকর্মী বিষু ও মোবারক আলীর বন্ধু সাজ্জাদকে খোঁজা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।

এর আগে সোমবার (৯ আগস্ট) সরকারি টিকা আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে ব্যবহারের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) চিকিৎসক ডা. তপন কুমার চক্রবর্তী বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় মোবারক ও হাসান নামে দুই জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলায় সাজ্জাদ ও বিষু দে-কেও আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এদিকে টাকার বিনিময়ে টিকা দেওয়ায় চসিক স্বাস্থ্যকর্মী বিষু দে-কে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে টিকা নিয়ে অনিয়মের ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করেছে চসিক।

উল্লেখ, শনিবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীতে গণটিকা কার্যক্রম চলাকালে খুলশী এলাকার একটি বাসায় গিয়ে চারজনকে টিকা দেন সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মী বিষু দে। প্রতিজনকে টিকা দেওয়ার বিনিময়ে তিনি এক হাজার টাকা করে নেন। মোস্তফা হাকিম ডিগ্রি কলেজের টিকাদান কার্যক্রমে দায়িত্বরত ছিলেন বিষু দে। তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন হাসপাতালে ল্যাব টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। তাই ধারণা করা হচ্ছে, মোস্তফা হাকিম মাতৃসদন থেকেই গোপনে ওই টিকা নেন বিষু দে।

ওইদিন এমডি হাসান নামে এক যুবক ফেসবুকে বাসায় টিকা নেওয়ার ছবি পোস্ট করে পুলিশের নজরে আসেন। তাকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে বিষু দে নামে চসিকের এক স্বাস্থ্যকর্মী এ টিকাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত।

কেএম/এমএইচএস