চলছে ট্রেন, অনেক আসনই ফাঁকা
কঠোর বিধিনিষেধ শেষে দীর্ঘদিন পর সারাদেশে ফের যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাওয়া-আসা করছে ট্রেন। তবে ট্রেনে যাত্রীদের চাপ তেমন দেখা যায়নি। যেসব ট্রেন ছেড়ে গেছে সেগুলোর অনেক আসনই ফাঁকা দেখা গেছে।
বুধবার (১১ আগস্ট) কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বলাকা এক্সপ্রেস, তুরাগ এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, পারাবাত এক্সপ্রেস, সেনার বাংলা এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, মহানগর প্রভাতি, বনলতাসহ বেশকিছু ট্রেন ছেড়ে গেছে। বিধিনিষেধের পর নতুন ঘোষণায় ট্রেনগুলোকে শতভাগ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
১৯ দিন পর আজ থেকে শিথিল হয়েছে বিধিনিষেধ। এখন রাস্তায় গণপরিবহন চলার পাশাপাশি ট্রেন ও লঞ্চ চলছে। এছাড়া আজ চালু হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানও।
বিধিনিষেধের পর প্রথম দিনে কমলাপুর রেল স্টেশনে ট্রেন চলাচল করলেও টিকিট কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের তেমন ভিড় দেখা যায়নি। তবে যাত্রীদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়েছে কমিউটার ট্রেনের কাউন্টারে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২০ জোড়া কমিউটার ট্রেন চলাচল করছে। আগের ভাড়ায় চলাচল করছে ট্রেনগুলো। তবে ট্রেন চলাচলের প্রথম দিনে এসব ট্রেনের আসন অনেকটাই ফাঁকা দেখা গেছে।
বুধবার দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে কথা হয় রাজশাহীগামী ধূমকেতু ট্রেনের যাত্রী আলমাস আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম প্রথমে দিনে ট্রেনে অনেক ভিড় হবে। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখে খুব একটি ভিড় নেই। ফাঁকা ফাঁকা ভাব স্টেশনে। যেসব ট্রেন ছেড়ে যাচ্ছে, সেগুলোর অনেক আসনও ফাঁকা। যেমন ভেবেছিলাম, তেমন যাত্রী নেই।
কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার রফিকুল ইসলাম বলেন, নির্ধারিত সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল করছে। অনলাইনে ও কাউন্টারে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কোনো স্ট্যান্ড টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। প্রথম দিনে যাওয়ার চেয়ে আসার যাত্রীই বেশি বলে তিনি জানান।
স্টেশনের কুলির কাজ করা আমজাত বলেন, অনেক দিন বন্ধ থাকার পর ট্রেন খুলেছে। কিছু ইনকাম হচ্ছে। লকডাউনে আয় রোজগার ছিল না, খুব কষ্টে দিন কাটিয়েছি।
তিনি বলেন, ট্রেন চলাচল শুরু হলেও আজ যাত্রীর চাপ কম। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে হয়ত যাত্রী বাড়বে।
এসআই/এসএসএইচ