এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ধানমন্ডি ১৫ নম্বরের নর্দার্ন হাসপাতালসহ ১১টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাত জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও দুই জন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার (আনিক) অভিযানে এ জরিমানা আদায় করা হয়।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মধ্যে অঞ্চল-১ এর ধানমন্ডি ও বাংলামোটরে মাহফুজুল আলম মাসুম, অঞ্চল-২ এর এজিবি কলোনি ও ওয়াসা কলোনিতে মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অঞ্চল-৩ এর কামরাঙ্গীরচরের মাতবর বাজারে তৌহিদুজ্জামান পাভেল, অঞ্চল-৫ এর উত্তর ও পশ্চিম যাত্রাবাড়িতে মুহাম্মদ হাসনাত মোর্শেদ ভূঁইয়া এবং জুরাইনের আলমবাগে শাহিন রেজা, অঞ্চল-৮ এর ডেমরার বাউনিয়া জুট মিল ও ডেমরা মহিলা কলেজে কাজী হাফিজুল আমিন এবং অঞ্চল-১০ এর শেখদী, শনির আখড়া গোবিন্দপুর এলাকায় বিকাশ বিশ্বাস এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

এছাড়া আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের (আনিক) মধ্যে অঞ্চল-১ এর মেরীনা নাজনীন ধানমন্ডি, হাতিরপুল, সোনারগাঁও ও কলাবাগানে এবং অঞ্চল-৩ এর আনিক বাবর আলী মীর আজিমপুর এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত এ সময় মোট ১১১৮টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মশার লার্ভা পাওয়ায় ১১টি নির্মাণাধীন ভবন, বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১১ মামলায় সর্বমোট এক লাখ ৬৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযান প্রসঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরীনা নাজনীন বলেন, অভিযানে আমাদের লোকবলকে মোট আটটি উপ-দলে বিভক্ত করে আট শতাধিক বাড়িতে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। এ সময় বেজমেন্টে মশার লার্ভা পাওয়ায় নর্দার্ন হাসপাতালকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। হাসপাতালের মতো জায়গায় যদি এ ধরনের পরিবেশ বিরাজ করে তবে তা জনস্বাস্থ্যের জন্য শুভ বার্তা হতে পারে না। তাই নর্দার্নকে জরিমানার মাধ্যমে অন্যান্য হাসপাতালগুলোকেও আমরা একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই - দয়া করে আপনারা আপনাদের ছাদ ও বেজমেন্টে নজর দিন। মশার লার্ভা জন্মাতে পারে এমন পরিবেশ বিরাজ করলে তবে সেসব উৎস ধ্বংস করুন।

এছাড়াও অভিযানকালে আরও ১২টি স্থাপনা ও বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় তা ধ্বংস করা হয় এবং সেসব বাড়ির মালিককে সতর্ক করা হয়।

এএসএস/এসএসএইচ