হাসপাতাল নির্মাণের নামে সিআরবিকে ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না
হাসপাতাল নির্মাণের নামে চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি এলাকায় প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চ। একইসঙ্গে শুধুমাত্র ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের জন্য বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণ প্রকল্প থেকে সরে আসার জন্য দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়ার পক্ষে কাজী মাহির তাজওয়ারের পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস সেন্ট্রাল রেলওয়ে ভবন (সিআরবি) এলাকায় সম্প্রতি বেসরকারি উদ্যোগে হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ২০২০ সালে সিআরবি এলাকায় বর্তমান রেলওয়ে হাসপাতাল ও সংলগ্ন খালি জমি, রেলওয়ে হাসপাতাল কলোনি স্টাফ কোয়ার্টারের ছয় একর জমিতে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে (পিপিপি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। বেসরকারি ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ কোম্পানি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান ছয় একর জমিতে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল, ১০০ আসনের মেডিকেল কলেজ ও ৫০ আসনের নার্সিং ইনস্টিটিউট করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ১২ বছর এবং ইতোমধ্যে রেলওয়েকে ৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তি অনুসারে ৫০ বছর পর হাসপাতালটি রেলওয়েকে হস্তান্তর করা হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বন্দরনগরীর সিআরবি মোড় থেকে টাইগার পাস, কদমতলী ও জিএম বাংলোমুখী সড়কগুলোর দুই পাশে রয়েছে শতবর্ষী রেইন ট্রিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। প্রায় পৌনে ২০০ বছরের এ নান্দনিক স্থাপনা ও সবুজ বৃক্ষরাজিসহ প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করলে শতবর্ষী অনেক পুরনো গাছ কাটতে হবে; যা পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে। এছাড়াও সিআরবি ভবনটি দেশের ব্রিটিশ বা কলোনিয়াল স্থাপত্যের বিলীয়মান নিদর্শনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থাপত্যকলা যা নগর পরিকল্পনা, স্থাপত্য কিংবা ইতিহাসের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষা ও গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি শুধু চট্টগ্রামের নয়, সমগ্র বাংলাদেশের অনন্য সম্পদ, তাই সিআরবিকে সংরক্ষণ করা অত্যন্ত প্রয়োজন।
এমএইচএন/এসকেডি