বাড়ছে নদ-নদীর পানি, সপ্তাহের শেষে বন্যার শঙ্কা
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। নদ-নদীতে এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সপ্তাহের শেষ দিকে বিভিন্ন অঞ্চলে মধ্যমেয়াদি বন্যা সৃষ্টি হতে পারে।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরের দিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, বন্যা পূর্বাভাসে এ সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের ১০টির বেশি জেলায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকায় কুশিয়ারা ছাড়া প্রধান নদীসমূহের পানি সমতলে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর ও ভারত আবহাওয়া অধিদফতরের গাণিতিক মডেলের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের হিমালয় পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ, সিকিম, আসাম ও মেঘালয় প্রদেশের স্থানসমূহে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। ফলে এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার ও উত্তরপূর্বাঞ্চলের আপার মেঘনা অববাহিকার প্রধান নদীসমূহের পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি সমতলে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পশ্চিমাঞ্চল ও উত্তর মধ্যাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র ও যমুনার পানি সমতলে বৃদ্ধি পেয়ে আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহের শুরুর দিকে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। ওই সময় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিভিন্ন স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে এবং অববাহিকামুক্ত লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর এবং কুড়িগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের পশ্চিমাঞ্চলের গঙ্গা নদীর পানি আগামী দুই সপ্তাহে বৃদ্ধি পেয়ে সতর্কসীমায় পৌঁছাতে পারে। অপরদিকে মধ্যাঞ্চলের পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের শেষার্ধে অথবা তৃতীয় সপ্তাহের প্রথমার্ধে কোথাও কোথাও বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মুন্সীগঞ্জ, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প থেকে মধ্যমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
একে/এসকেডি