মশার এত লার্ভা দেখে কর্মকর্তা বললেন, এটি ইতিহাস
একসঙ্গে এডিস মশার এত লার্ভা আগে কখনও দেখা যায়নি। এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা।
সোমবার (৯ আগস্ট) এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসাবো কদমতলা এলাকায় অভিযানে গিয়ে হতভম্ব হয়ে ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো বলেন, এটি অনেকটা ইতিহাস, রেকর্ডের মতো। গত জুন মাস থেকে আগস্টের আজকের দিন পর্যন্ত অসংখ্য অভিযান পরিচালনা করেছি। এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের কাজে আমরা নিয়োজিত আছি। কিন্তু আজ এ এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনে যে পরিমাণ লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, সেটি গত আড়াই মাসে আমরা কেউ দেখিনি।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, এটি একেবারে অবিশ্বাস্য। দুই-দুইটা পানির হাউজের মধ্যে কোটি কোটি লার্ভা এবং এগুলোর ভেতর ধ্বংস করার জন্য যখন মশার ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তখন এডিস মশা সেখান থেকে উঠে আসছিল। সার্বক্ষণিক এখানে মশা উৎপন্ন হয়েই যাচ্ছে।
সুয়ে মেন জো বলেন, আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন, অনাদায়ে ১৫ দিনের জেলের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। আগামী সপ্তাহে আমরা আরেকবার আসব, তখনও যদি এ অবস্থা থাকে তাহলে তাকে সরাসরি জেলের শাস্তি দেবেন বলে ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।
এ সময় সেখানে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস ও অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া এডিস মশার লার্ভা নিয়ন্ত্রণে আজ ডিএসসিসি আরও আটটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে।
অভিযানে ডিএসসিসির ৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত মোট ১০৬১টি বাড়ি পরিদর্শন করেন এবং ১১টি নির্মাণাধীন ভবন ও বাসা-বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সর্বমোট ১১ মামলায় ২ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এএসএস/এসএসএইচ