জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শনের ক্ষতি করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড
‘বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আইন, ২০২১’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। খসড়ায় জাদুঘরের স্থাবর নিদর্শনের ক্ষতি করলে ১০ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার (৯ আগস্ট) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ আইনের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে সামরিক শাসনামলে জারি করা অধ্যাদেশগুলোকে আইনে রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা থাকায় এটিকে আইনে রূপান্তর করা হচ্ছে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, স্থাবর নিদর্শন ধ্বংস বা ক্ষতি করলে ১০ বছর কারাদণ্ড অথবা ১০ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে। নিদর্শন চুরি, পাচার বা ক্ষতি করলে করলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দেওয়া হবে।
বৈঠকে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন, ২০২১’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের অধ্যাদেশকে বদলে এ আইন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এককালীন চাঁদা দিয়ে প্রাথমিকের শিক্ষকদের এ ট্রাস্টের সদস্য হতে হয়। এরপর শিক্ষকদের পাশাপাশি তাদের পোষ্যরা এখান থেকে সুবিধা পাবেন। ট্রাস্টি বোর্ডে আট জন তিন বছরের জন্য দায়িত্বে থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হবেন ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আর ভাইস চেয়ারম্যান হবেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
কোনো শিক্ষক মারা গেলে তার নাবালক, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানেরা এ ট্রাস্ট থেকে সহায়তা পাবেন বলেও জানান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি অনুদান হিসেবে কিছু দিলে ট্রাস্ট তা গ্রহণ করতে পারবে। বিধি দিয়ে বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হবে।
এসএইচআর/এসএসএইচ