ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণি, ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের বাসায় যাতায়াত ছিল এমন অভিযোগে ও কথিত মডেলদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের নাম জড়িয়ে চাঁদাবাজি করছে একটি চক্র। এ পর্যন্ত তিন জন ব্যবসায়ী ব্যক্তি চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন।

সোমবার (৯ আগস্ট) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) কৃষ্ণপদ রায় ও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, মডেল ইস্যুতে সম্পর্ক রয়েছে এমন ব্যক্তিদের তালিকার কথা বলে একটি চক্র চাঁদাবাজিতে নেমেছে। এ চক্রটি সমাজের বিশিষ্টজনদের কাছে ফোন করে তালিকায় তাদের নাম থাকার কথা বলে চাঁদা দাবি করছে। এ পর্যন্ত তিন জন বিশিষ্ট ব্যক্তি এ ধরনের চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার কথা পুলিশকে জানিয়েছেন। তারা ফোন করে আতঙ্কে থাকার কথা জানিয়েছেন। এমনকি একজন ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা চেয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। চাঁদা না দিলে গণমাধ্যমে তার নাম প্রকাশ করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চক্রটি কথিত ভিডিওর কথা বলে বিশিষ্টজনদের ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশ এ ধরনের কোনো তালিকা করেনি। এমন তালিকার কথা বলে যারা বাণিজ্যে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, কারও সঙ্গে সম্পর্ক থাকা তো বেআইনি নয়। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা না হয়। মডেল-অভিনেত্রী গ্রেফতারের পর ব্যবসায়ীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক ছড়িয়েছে। আমরা চাই না করোনাকালে এমন আতঙ্ক ছড়াক, বিনা কারণে কারও সম্মানহানি ঘটুক। কেউ যাতে মিডিয়া ট্রায়ালের শিকার না হন সেজন্য সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, যারা ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু আইনে মামলা হয়েছে। সেই মামলাগুলো তদন্ত করছে পুলিশ।

ডিএমপি কমিশনার অনুরোধ করেন, যদি ব্যবসায়ী মহলের কারও কাছে বা কোনো নাগরিকের কাছে এমন তালিকার কথা বলে চাঁদা চেয়ে কেউ ফোন করে তাহলে সঙ্গে সঙ্গে যেন তারা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। এ বিষয়ে কোনো অডিও বা ভিডিও থাকলে তা তদন্তের স্বার্থে সংরক্ষণ করে রাখারও অনুরোধ করেন তিনি।

জেইউ/এসএসএইচ