১০ আগস্টের পর সবকিছু ধাপে ধাপে খুলবে জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। সোমবারের (৯ আগস্ট) মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। 

রোববার (৮ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিধিনিষেধ আগামী ১০ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত চলমান থাকবে। ১১ তারিখ থেকে যেটি চিন্তাভাবনা চলছে সেটি হলো- ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে শিথিল করা। আমাদের করোনা শনাক্তের হার একটু কমছে, কিন্তু মৃত্যুর হার ২০০ এর উপরে আছে। সে বিষয়ে কিন্তু অবশ্যই আমাদের নজর রাখতে হচ্ছে।

আগামী দিনে বিধিনিষেধ আমরা কী পর্যায়ে শিথিল করতে পারব, সে বিষয় নিয়ে আমরা হয়তো আজকে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে সিদ্ধান্ত পাব। সেটা হয়তো আজকে অথবা কালকে সকাল নাগাদ জানাতে পারব, বলেন ফরহাদ হোসেন।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পাওয়ার পর প্রজ্ঞাপন দেওয়া হবে। কতটুকু শিথিল করব, সেই নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিয়ে দেব। 

তিনি বলেন, সব খুলে দেওয়া হবে, কিন্তু ধাপে ধাপে। কোনটি আগে খোলা হবে, কোনটি পরে, সে রকম একটি বিষয় থাকবে। কতটুকু পরিসরে খোলা হবে, সে রকম বিষয়ও আছে। শারীরিক দূরত্ব মানা, মাস্ক পরা ও হাত ধুতে হবে। দোকানপাট আস্তে-আস্তে খুলতে হবে। সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মানে এবং সতর্কতার সঙ্গে সব কিছু করেন, সেদিকে নজর রাখতে হবে। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণটিকা কার্যক্রম ১২ আগস্ট পর্যন্ত চলমান থাকবে। জেলা ও উপজেলা কেন্দ্রে অনেক আগ থেকে টিকা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই প্রত্যেকে যেন মাস্ক পরেন, মাস্ক পরার বিষয়টিকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। দোকানদার, মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিন, বাসের ড্রাইভার, হেলপার, সুপারভাইজর বা যাদের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়, তাদের আমরা অগ্রাধিকার দিয়েছি। আমাদের টার্গেট হচ্ছে এসব মানুষকে যাতে করে সুরক্ষার মধ্যে আনতে পারি। 

তিনি বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়নে ৬০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। দোকানি, মাছ ও সবজি বিক্রেতা, অটোরিকশার চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। বৃদ্ধ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, সেলুনকর্মী। যাদের মানুষের কাছে আসতে হয় তাদের আমরা বেছে নিয়েছি। এই কার্যক্রম রাখতে হবে। যাদের ঝুঁকির মধ্যে থাকতে হয় তারা যেন আগে টিকা নিতে পারে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, গার্মেন্ট বাস্তবতার নিরিখেই খুলে দিতে হয়েছে। বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে তারা চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করে। স্থানীয়ভাবে যারা উপস্থিত আছেন, তাদের নিয়ে তারা কারখানা খোলার শর্ত নিয়েই অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। সব শ্রমিক চলে এসেছে। এর আগে কখনোই রফতানিমুখী শিল্পকারখানা বিধিনিষেধের আওতার মধ্যে ছিল না।

করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার। ১১ আগস্ট থেকে খুলবে দোকানপাট, শপিংমল; চলবে গণপরিবহন, খুলবে সব ধরনের সরকারি-বেসরকারি অফিস।

৩ আগস্ট ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে। ১০ তারিখ পর্যন্ত বিধিনিষেধের সময়ের মতো চলবে, ১১ তারিখ থেকে খুলবে অফিস।

এসএসইচআর/জেডএস/জেএস