শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্প
৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের ১৫ মামলা
ভুয়া বিল-ভাউচারে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের দুই কর্মকর্তা ও ৮ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার দুদকের সিলেট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক মো. নূর-ই আলম বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করেন। বুধবার (৪ আগস্ট) সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপ-পরিচালক) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
মামলার আসামিরা হলেন- শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের বরখাস্ত হওয়া সহকারী প্রধান হিসাবরক্ষক ও হিসাব বিভাগীয় প্রধান খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল, বরখাস্ত হওয়া রসায়নবিদ নেছার উদ্দিন আহমদ, মেসার্স টিআই ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোসাম্মৎ হালিমা আক্তার, মেসার্স রাফী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. নূরুল হোসেন, ফালগুনী ট্রেডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এএসএম ইসমাইল খান, মেসার্স আয়মান এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল হক, মেসার্স এন আহমদ অ্যান্ড সন্সের মালিক নাজির আহমদ, মেসার্স মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. হেলাল উদ্দিন, মেসার্স ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো. জামশেদুর রহমান খন্দকার এবং মেসার্স সাকিব ট্রেডার্সের মালিক আহসান উল্লাহ চৌধুরী।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শাহজালাল ফার্টিলাইজার প্রকল্পের দুই কর্মকর্তা খোন্দকার মুহাম্মদ ইকবাল ও নেছার উদ্দিন আহমদ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ৮ মালিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ভুয়া বিল-ভাউচার তৈরির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৩৮ কোটি ৭১ লাখ ২৪ হাজার ৯০২ টাকা আত্মসাৎ করেন। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় দণ্ডবিধির ৪০৬/৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সনের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
আরএম/এসকেডি