এক মাসের বেশি সময় পর গত ২৮ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় একনেক সভা

অ্যাপ্রোচ সড়কসহ দুটি ইউলুপের দৈর্ঘ্য দুই হাজার ১৪২ দশমিক ৭০ মিটার। এই ইউলুপ দুটি নির্মাণ করতে ব্যয় হবে ৩০৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এখানে প্রতি মিটার (এক মিটার সমান ৩.২৮ ফুট) ইউলুপ নির্মাণে ব্যয় হবে ১৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। 

এছাড়া একই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। এই তিনটি আন্ডারপাসের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৭১ দশমিক ৫৪ মিটার (মোট ৫৬২.৬৫ ফুট)। এগুলো নির্মাণে মোট ব্যয় হচ্ছে ১৬১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এখানে আন্ডারপাস নির্মাণে মিটারপ্রতি ব্যয় হবে ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা এবং ফুটের হিসেবে ফুটপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ২৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা।

গত ২৮ জুলাই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ৩টি আন্ডারপাস এবং পদুয়ার বাজার ইন্টারসেকশনে ইউলুপ নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। অনুমোদিত প্রকল্পের বিভিন্ন অঙ্গভিত্তিক পরিমাণ ও ব্যয় বিভাজনে এ খরচ ধরা হয়েছে। 

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রকল্পটি চলতি মাস থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৫৬৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে দুর্ঘটনার ঝুঁকি হ্রাসপূর্বক টেকসই, নিরাপদ ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতকল্পে এ মহাসড়কের পদুয়ার বাজার তিন রাস্তার মোড়ে আন্ডারপাসসহ ইউলুপ এবং কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা ও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে। 

প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে- ২ হাজার ১৪২.৭০ মিটার ইউলুপ নির্মাণ (অ্যাপ্রোচ সড়কসহ), ১৭১.৫৪ মিটার তিনটি আন্ডারপাস নির্মাণ, ১.৫৩ হেক্টর ভূমি অধিগ্রহণ, গ্রেডার ক্রয় ১টি, ১টি ডাবল কেবিন পিক-আপ, ১টি ট্রাক, ১টি মোটরসাইকেল ক্রয়, প্রকল্পের আওতায় ল্যান্ডস্কেপ, ইউটিলিটি সিফটিং এবং বৃক্ষরোপণসহ অন্যান্য কাজ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে জানতে সওজ-র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও মেইনটেনেন্স উইং) আ.ক.ম. মনির হোসেন পাঠানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেছেন, এই প্রকল্পটির প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা আমি এখানে আসার আগে হয়েছে। যখন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির পুনর্গঠিত ডিপিপি পাঠায়, তখন আমি নিজেই এটি পর্যালোচনা করেছি। আমার কাছে কিছু জায়গায় ব্যয়টা বেশি মনে হয়েছে। এরপর আমি সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সাথে কথা বলি। উনারা বললেন, এই ব্যয়গুলো নির্ধারণ করেছে বুয়েট। তারপর বুয়েটের যে প্রফেসর এটা করেছেন তার সাথেও আমি এটি নিয়ে বসেছি।

তিনি বলেন, বর্তমানে প্রকল্পে খরচ কিছুটা বেশি। তবে এ ধরনের পুশ বক্স মেথড পদ্ধতির আন্ডারপাস বাংলাদেশে কেউ করেনি। এর আগে শুধুমাত্র ঢাকাতে রমিজ উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে এটা করা হয়েছে। এই কাজটার জন্য বাংলাদেশে কোনো অভিজ্ঞ ফার্ম নেই। নতুন ধরনের কাজ। সেজন্যই ব্যয় একটু বেশি ধরা হয়েছে।

এসআর/এইচকে