গণপরিবহন চালু হবে ১১ আগস্ট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এরপর ১১ আগস্ট থেকে সড়কে পুনরায় গণপরিবহন চলাচল করবে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সচিবালয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। সভায় জানানো হয়েছে ,একই দিন থেকে খুলে দেওয়া হবে দোকানপাট ও অফিস আদালত।
বিজ্ঞাপন
মন্ত্রী বলেন, ‘১০ তারিখ পর্যন্ত আমরা বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করেছি। ১১ তারিখ থেকে ইনশাহ আল্লাহ সব খুলবে।’
কিছু শিল্প-কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অন্যান্য কারখানাও আমরা খুলে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ১১ তারিখ থেকে দোকানপাট, যানবাহনও চলবে। তবে সব একত্রে না। আমরা লোকাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে অনুরোধ করবো, বাই রোটেশনে যাতে চলে।’
উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘মনে করেন, গাজীপুর থেকে ১০০ গাড়ি প্রতিদিন ঢাকায় আসে। ১০০ না, ৩০টি আসুক বা ৫০টি আসুক। আজ এগুলো যাবে তো কাল অন্যগুলো যাবে। এরকম তারা নির্ধারণ করে দেবেন। শ্রমিক, পরিবহন নেতা এবং পরিবহনর মালিকদের সঙ্গে কথা বলে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।’
‘লঞ্চ, স্টিমার, রেল আছে, সেগুলোও চলবে। কিন্তু অতীতে যে পরিমাণে চলেছিল, সে পরিমাণ না চলে সীমিত আকারে...। কর্তৃপক্ষ সেগুলো নির্ধারণ করে জনগণকে অবহিত করবেন। যেমন রেল হয়তো ১০টা চলতো, এখন ৫টা চলবে। কোনটা কখন ছাড়বে এবং কিভাবে যাবে, এগুলো স্ব স্ব মন্ত্রণালয় ও ডিপার্টমেন্ট জনগণকে অবহিত করবে।’
এদিকে সবকিছু খুলে দেওয়ার ঘোষণা আসলেও এর সঙ্গে শর্ত জুড়ে দিয়েছে সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যারা টিকা নিয়েছেন, শুধুমাত্র তারাই ঘর থেকে হতে পারবেন। টিকা নেওয়ায় ব্যতীত কেউ মুভমেন্ট করলে তাকে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।
এ বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, অবশ্যই সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে হবে। দেশব্যাপী ১৪ হাজার কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ১১ তারিখ থেকে কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করবে। টিকা ছাড়া ১৮ বছরের বেশি কেউ চলাচল করলে তাকে সাজার আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, আইন না করলেও অধ্যাদেশ জারি করে হলেও শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে। যেহেতু সংসদ বন্ধ তাই আইন পাস করা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টি কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।
এসএইচআর/এমএইচএস/জেএস