দেশের ৭৩টি গণগ্রন্থাগার ডিজিটালাইজড হচ্ছে
দেশে প্রথমবারের মতো সরকারি ও বেসরকারি ৭৩টি গণগ্রন্থাগার ডিজিটালাইজড হতে যাচ্ছে। গ্রন্থাগারগুলোকে ই-লাইব্রেরিতে পরিণত করা হবে।
রোববার (১ আগস্ট) রাতে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ভার্চুয়ালি এক পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় জানানো হয়, নতুন প্রজন্মের চাহিদা অনুসারে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জ্ঞানসমৃদ্ধ সমাজ বিনির্মাণে আইসিটি সফটওয়্যার ও যন্ত্রপাতিসহ গ্রন্থাগারগুলোর আধুনিকায়ন করাই হচ্ছে এর মূল লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন
প্রাথমিকভাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে দেশের ৭১টি সরকারি ও ২টি বেসরকারি গ্রন্থাগার ডিজিটালাইজড করা হবে। ঘরে বসেই গণগ্রন্থাগারে প্রবেশ করে ইচ্ছে মতো বই পড়তে পারবেন পাঠকেরা।
মানসম্পন্ন অনলাইন সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রন্থাগারগুলোকে পরিণত করা হবে ই-লাইব্রেরিতে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে সভায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
সভায় এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের রূপরেখা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন বক্তারা। এতে জানানো হয়, প্রতিটি লাইব্রেরির জন্য থাকছে স্বতন্ত্র লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনার ডিজিটাল পদ্ধতি যেখানে থরে থরে সাজানো থাকবে ই-বুক। থাকবে স্বতন্ত্র শিশু ও মুজিব কর্নার। প্রতিটি ই-লাইব্রেরি এমনভাবে সাজানো হচ্ছে যাতে পিসি ছাড়াও সব ধরনের মোবাইল থেকেই যেন স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রন্থাগারে ভার্চুয়াল প্রবেশের মাধ্যমে পছন্দের বই পাঠক পড়তে পারেন।
বক্তারা জানান, ল্যান নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করে লাইব্রেরিগুলোকে ডিজিটাল রূপান্তরে তারহীন প্রযুক্তির ইন্টারনেট সংযোগ, আইপিফোন, বিভাগীয় গ্রন্থাগারগুলোর জন্য আরএফআইডি প্রযুক্তির ব্যবস্থা করবে আইসিটি বিভাগ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, গ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মো. এনামুল কবিরসহ তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তারা।
একে/জেডএস