এডিসের লার্ভার উৎস নিধনে দক্ষিণ সিটিতে চালু হচ্ছে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ
এডিস মশার লার্ভার উৎস নিধনে আগামী ২ আগস্ট (সোমবার) থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
রোববার (১ আগস্ট) নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারকরণ’ বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
মেয়র তাপস বলেন, উৎস নিধন ছাড়া এডিস মশা নির্মূল করা সম্ভব না। আমরা এখন সে উৎস নিধন করব, ঘরে ঘরে যাব। ডেঙ্গু মশার প্রজননের ফলে এর বিস্তৃতি লাভ করেছে। ডেঙ্গু মশার প্রজননস্থল সম্পর্কিত তথ্য দিতে ঢাকাবাসীর প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
তথ্য দিতে ০১৭০৯৯০০৮৮৮ ও ০২৯৫৫৬০১৪ নম্বরে ফোন করারও অনুরোধ জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সারাবিশ্বেই স্বীকৃত পন্থা হলো সোর্স রিডাকশন তথা উৎস নিধন। এখন প্রত্যেকটা উৎসস্থলে আমরা হানা দেব। প্রত্যেকটা উৎসস্থল আমরা ধ্বংস করব। সেজন্য আগামীকাল থেকে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হচ্ছে। আমাদের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমে কাউন্সিলররা স্বয়ং সেসব উৎসস্থল পরিদর্শনে যাবেন, মহিলা কাউন্সিলররা যাবেন, আমাদের মশক সুপারভাইজাররা যাবেন, আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা যাবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা যাবেন। সেখানে যার যা প্রয়োজন হবে তার প্রয়োজনও আমরা মেটাব এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে তা সমন্বয় করা হবে।
এ সময় দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গু রোগী বেশি শনাক্ত হওয়ার কারণ জানতে চাইলে মেয়র বলেন, ঢাকা মানে আসলে পুরান ঢাকা, আসল ঢাকা। এখানে জনঘনত্ব বেশি। এখানে সরকারি আবাসন বেশি। আমরা এপ্রিল মাস থেকেই বলে আসছি কলোনিগুলো, আবাসনগুলোর ব্যাপারে যেন সরকারি সংস্থাগুলো ব্যবস্থা নেয়। সে জায়গায় আমরা লক্ষ্য করছি যে, এখানে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই কার্যক্রম। তাই কোথায় বেশি, এটা আসলে সেভাবে দেখার বিষয় না। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি, গত বছর যেভাবে সফল হয়েছিলাম, যাতে করে এই অগাস্টের মধ্যেই তা শুন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি।
দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস