তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখি কারখানার শ্রমিকদের ঢাকায় ফিরতে বিড়ম্বনা কমাতে আজ (রোববার) দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাস চলাচলের অনুমতি রয়েছে। গণপরিবহনগুলোর মধ্যে বাস-লঞ্চ চললেও বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল।  

শেষ মুহূর্তে সরকার বাস চলাচলের অনুমতি দিলেও শ্রমিকদের ব্যাপক ভোগান্তি নিয়েই ঢাকাতে ফিরতে হচ্ছে। রোববার সকালে রাজধানীর প্রবেশমুখ গাবতলীতে ঘুরে দেখা যায় যে যেভাবে পারছেন, সেভাবেই রাজধানীতে ঢুকছে। কেউ পিকআপ, কেউ বাসে, কেউবা মোটরসাইকেলে, আবার কেউ কেউ হেঁটেই গাবতলী দিয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।

সোহরাব নামে এক পোশাক শ্রমিক এসেছেন নওগাঁ থেকে। তিনি বলেন, গতকাল বাসা থেকে রওনা দিয়েছি। খুব কষ্ট করে ঢাকা এসে পৌঁছালাম। বাসায় গিয়ে ব্যাগটা রেখেই অফিসে যাবো।

সিরাজগঞ্জ থেকে পলাশ নামের এক কর্মজীবী মোটারসাইকেলে এসেছেন গাবতলীতে। তিনি বলেন, ভোরে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে সাড় ৮টায় পৌঁছালাম। ভালোভাবে আসতে পেরেছি এতেই শুকরিয়া। তবে এসব সিদ্ধান্ত সরকার আগে থেকে নিতে পারলে ভালো হতো। সরকারের হুটহাট সিদ্ধান্তে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয়।   

করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে। সে মোতাবেক ওই সময় পর্যন্ত সব কারখানা বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।  

সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পরই দেশের প্রতিটা অঞ্চল থেকে দলে দলে ঢাকাতে ফিরতে শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে গণপরিবহন না থাকায় তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনা। পরে সে পরিস্থিতি এড়াতে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। 

এসআর/এনএফ