জাপান আমাদের সত্যিকারের বন্ধু : মোমেন
কোভ্যাক্সের মাধ্যমে জাপান সরকারের উপহারের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার জন্য দেশটিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, প্রয়োজনের সময়ে জাপান প্রমাণ করেছে তারা আমাদের সত্যিকারের বন্ধু।
শনিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালান গ্রহণ শেষে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাপান আমাদের পুরনো বন্ধু। জাপান প্রমাণ করেছে তারা আমাদের সত্যিকারের বন্ধু। তারা আমাদের প্রয়োজনের সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। জাপান সরকার আমাদের ৩০ লাখ টিকা দিচ্ছে। আমরা এগুলোর মধ্যে আজ (শনিবার) ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা পেয়েছি। টিকার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ। আমরা জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞ। তারা বিনা পয়সায় আমাদের টিকা দিচ্ছে।’
জাপান সামনের দিনে বাংলাদেশকে আরও টিকা দেবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন ড. মোমেন।
শনিবার জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় চালানে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ টিকা দেশে পৌঁছেছে। আগামী ৩ আগস্ট আসবে উপহারের আরও ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ টিকা।
এর আগে, গত ২৪ জুলাই জাপানের উপহারের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ টিকার প্রথম চালান দেশে পৌঁছায়। সব মিলেয়ে এখন পর্যন্ত জাপান থেকে ১০ লাখ ২৬ হাজার ৫২০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে।
করোনাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে মোমেন বলেন, ‘করোনা খুব বড় সমস্যা। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। এটা একটি দেশের পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না। বিশ্বের সবগুলো দেশে টিকা নিশ্চিত না করতে পারলে কেউই নিরাপদ নয়।’
করোনা মোকাবিলায় সরকার সফল জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা করোনা ভালোভাবে মোকাবিলা করেছি। সাফল্যজনকভাবে মোকাবিলা করেছি। সপ্তাহে এক কোটির বেশি লোককে টিকা দিচ্ছি আমরা। এটা দুনিয়ার কোনো দেশে দেখেছেন? আমরা প্রতি সপ্তাহে এক কোটি করে টিকা দেব। এতে দেখা যাবে, দুই মাসে অর্ধেক লোকের টিকা দেওয়া হয়ে যাবে। অনেক পন্ডিতেরা বলেন, পাঁচ বছর লাগবে। অনেকে নেতিবাচক কথা বলেন। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যেভাবে টিকা নিয়ে কাজ করছে তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।’
করোনা যুদ্ধে দেশের সবাইকে দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, ‘এখন করোনা যুদ্ধ চলছে, এতে সবার দায়দায়িত্ব আছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। আমি আগে মাস্ক পরতাম না, এখন বাধ্য হয়ে মাস্ক পরি। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তাহলে কিন্তু হাসপাতালে ভিড় হবে না। আর আমরা সারাদেশকে হাসপাতাল বানাতে পারব না।’
এনআই/ওএফ