বান্দরবানের সাইরু হিল রিসোর্ট | ছবি- সংগৃহীত

বান্দরবানের টুরিস্ট রিসোর্ট হিসেবে খ্যাত ‘সাইরু হিল রিসোর্ট’- এর বিরুদ্ধে দুই কোটি ১২ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকির সত্যতা পেয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর।

ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সাইরু’র বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্যাট গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান। 

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দারা গত ৩০ নভেম্বর সাইরু রিসোর্টে অভিযান চালায়। অভিযানে গোয়েন্দারা রিসোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে কম্পিউটারসহ অন্যান্য কাগজপত্র জব্দ করে। পরবর্তীতে সেগুলো পর্যালোচনা করে ভ্যাট ফাঁকির বিষয়টি উঠে আসে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ফাঁকি দেওয়া টাকার দ্বিগুণ অর্থ তাদের জরিমানা করা হতে পারে। 

ভ্যাট গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানায়, তদন্ত অনুসারে রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বান্দরবান ভ্যাট অফিসে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব গোপন রেখে রিটার্ন পেশ করে আসছিল। গোয়েন্দাদের অভিযানে তাদের প্রকৃত বিক্রির হিসাব জব্দ করা হয়।

সাইরু রিসোর্টে ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তরের অভিযান

তদন্তে দেখা যায়, সাইরু ২০১৮ সালের নভেম্বর হতে ২০২০-এর অক্টোবর পর্যন্ত ২৪ মাসে এক কোটি ৭০ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ভ্যাট আইন অনুযায়ী, সময়মতো ভ্যাট না দেওয়ায় দুই শতাংশ হারে ৪২ লাখ টাকার সুদ প্রযোজ্য হবে। ওই ২৪ মাসে সর্বমোট ফাঁকি হয়েছে দুই কোটি ১২ লাখ টাকা। সাইরু গেস্টদের নিকট থেকে চালানের মাধ্যমে ভ্যাট সংগ্রহ করে। কিন্তু ওই টাকার বড় অংশ একটা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করে।

তবে করোনার সময় গত এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত চার মাস রিসোর্ট বন্ধ ছিল। তদন্তে মাসগুলোর ভ্যাটের হিসাব ধরা হয়নি। প্রতিষ্ঠানটি গড়ে প্রতি মাসে এক লাখ টাকা ভ্যাট দিয়ে রিটার্ন দাখিল করে আসছিল। তদন্ত অনুসারে সাইরু রিসোর্টের প্রতি মাসে গড়ে ১০ লাখ টাকা ভ্যাট প্রদেয় হয়। সেই হিসাবে তারা ১০ ভাগের এক ভাগ ভ্যাট দিত। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা থেকে গোপনে বান্দরবানে গিয়ে অভিযানটি পরিচালনা করে ভ্যাট নিরীক্ষা ও গোয়েন্দা অধিদপ্তর। সংস্থার উপপরিচালক তানভীর আহমেদ এতে নেতৃত্ব দেন। 

আরএম/এমএআর