এলপিজির দাম বৃদ্ধি ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’
করোনাভাইরাসের এই দুঃসময়ে এক মাসের মধ্যে আবারও এলপিজির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ বলে আখ্যায়িত করেছে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট। সংগঠনটি শিগগির এই সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিও জানিয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সংবাদ মাধ্যমে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সভাপতি ডা. এম এ করিম ও সাধারণ সম্পাদক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম জাহাঙ্গীর হোসাইনের পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞাপন
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিধিনিষেধের কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষের জীবন ও জীবিকা চরম সংকটের মুখে। তখনই সরকারের এই সিদ্ধান্ত শুধু দায়িত্বহীনতাই নয়, অমানবিকও বটে। বিভিন্ন সংস্থার গবেষণায় উঠে এসেছে, করোনার কারণে গত এক বছরে নতুন করে আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন। ৬২ শতাংশ শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। সরকার মানুষের খাবারের ব্যবস্থা না করে দায়িত্বহীনভাবে বিধিনিষেধ দিয়ে সেনা, বিজিবি, পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে জনগণকে রাখছে।’
‘অথচ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে এবং করোনার কারণে শ্রমিক, শ্রমজীবী ও নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন ও জীবিকার অনিশ্চয়তার বিষয়ে তেমন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তার ওপর আগামী ১ আগস্ট থেকে ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের মূল্য ৮৯১ টাকা থেকে ১০২ টাকা বাড়িয়ে ৯৯৩ টাকা নির্ধারণ করেছে। এর আগে জুলাই মাসে একই সিলিন্ডারের মূল্য ৪৯ টাকা বাড়ানো হয়। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে সিলিন্ডার দাম বেড়েছে ১৫১ টাকা। আর সরকারের বাজার ব্যবস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ ও নজরদারি না থাকার কারণে এখনই প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডারের জন্য গ্রাহককে গুনতে হয় এলাকা ভেদে এক হাজার টাকা থেকে এগারোশ টাকা।’
আরও বলা হয়, ‘এর আগেও ভোক্তাদের দাবি আমলে না নিয়ে লুটপাটের পথ আরও সুগম করতে গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়ানো হয়। বর্তমান সরকারের আমলে ৭ দফায় গ্যাস, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি করে শ্রমিক, শ্রমজীবী, স্বল্প আয়ের মানুষ ও জনগণের জীবন ও জীবিকাকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দফায় দফায় গ্যাস, বিদ্যুত, পানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়ায় জনগণ দিশেহারা।’
এমএইচএন/এমএইচএস