অ্যাপ তৈরিতে এক টাকাও খরচ হচ্ছে না: পলক
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানিয়েছেন, করোনা টিকা বিতরণ ব্যবস্থাপনায় ‘সুরক্ষা’ সফটওয়্যার ও অ্যাপ অধিদপ্তরের নিজস্ব জনবল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। তাই এতে কোনও অর্থ খরচ হবে না।
মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে করোনা নিবন্ধন অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা খরচের তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে দেশজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাখ্যামূলক বিবৃতি দিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন বিষয়ক অ্যাপ তৈরিতে এক টাকাও খরচ হচ্ছে না। করোনা টিকাগ্রহণে ইচ্ছুকদের ডাটাবেজ তৈরিতে যে অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে তার জন্য টাকা খরচের খবরটি সঠিক নয়।
তিনি বলেন, আইসিটি বিভাগে একটি ডাটাবেজ সফটওয়্যার আগে থেকেই তৈরি আছে। সেই ডাটাবেজের ওপর ‘সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম’ তৈরি করা হবে। ওটাই হবে সেই অ্যাপ। আইসিটি বিভাগে কর্মরত প্রোগ্রামাররাই অ্যাপটি তৈরি করবেন। নিজেদের জনবল, অফিস, রিসোর্স ব্যবহার করে কাজটি করা হবে। ফলে এর জন্য কোনও টাকাই খরচ হবে না। কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে অ্যাপ তৈরির জন্য আইসিটি বিভাগ থেকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তার দপ্তরের কেউই এমন তথ্য প্রকাশ করেনি। একটি শুভ উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন সংবাদ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট (ক্যামস) নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। সফটওয়্যারটি আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামারদের একটি দল তৈরি করেছে। ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে করোনাকালে দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এই ক্যামস সফটওয়্যার ব্যাকএন্ডে থেকে কাজ করেছে। সেই প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেই অ্যাপটি তৈরি করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব অ্যাপটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আইসিটি বিভাগকে বলা হয়েছে যেহেতু একটা ডাটাবেজ রেডি আছে এবং সেটা পরীক্ষিত। ফলে ওই ডাটাবেজটি ব্যবহার করে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। ভ্যাকসিন দিতে হলে গ্রহীতার বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত থাকতে হবে। অনেক তথ্য ক্রস চেক করতে হবে। ফলে প্ল্যাটফর্ম একটা প্রয়োজন হবেই। এরই ধারাবাহিকতায় অধিদপ্তরের তরুণ ও মেধাবী কর্মকর্তারা টিকার সুষ্ঠু বিতরণের লক্ষ্যে তাদের শতভাগ নিবেদন, মেধা, সময় দিয়ে সুরক্ষা সফটওয়্যারটি তৈরি করেছেন। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।
তিনি আরও বলেন, এই অ্যাপ তৈরির জন্য আইসিটি বিভাগ অর্থ বিভাগ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কারও কাছে টাকা চায়নি। ফলে অ্যাপ তৈরিতে ৯০ কোটি টাকা ব্যয়ের বিষয়টি পুরোটাই মনগড়া।
এইচএন/এসআরএস