ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে শুধু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, আমরা তো মানুষের ছাদে উঠতে পারি না। আপনারা যদি দেখেন যে, ছাদে কোথাও পানি জমে আছে, নিজে পরিষ্কার করতে পরবেন না, তাহলে আমাদের জানান। আমরা এসে পরিষ্কার করে দিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আপনারা যদি কোনো প্রতিবেশীর আঙিনায় পানি জমে থাকতে দেখেন তাহলে তাদের দিকে না তাকিয়ে আমাদের জানান। আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়ে উপস্থিত হব। আমরাই জমে থাকা পানি পরিষ্কার করে দেবো। আমাদের শুধু তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৮ জুলাই) সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ হাইওয়ে সংলগ্ন দক্ষিণ সিটির ৫৮ ও ৫৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঢাকা ম্যাচ কলোনিতে জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন অনেক বড় এলাকা নিয়ে গঠিত। তাই প্রত্যেকের ঘরে ঘরে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। এ জন্য আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার আগেই আমাদের তথ্য দিন। রোগী হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে তথ্য নিয়ে লাভ হয় না। তখন কিন্তু মশার প্রজনন হয়ে গেছে। প্রজননের আগে লার্ভা পর্যায়ে তথ্য দিন। এতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, এডিস মশা বাড়ির আঙিনায়, বাসা-বাড়িতে হয়, ফুলের টবে হয়, ছোট বড় যে কোনো পাত্রে হয়, অর্থাৎ যেখানেই বৃষ্টির পানি এসে জমে বা পানি জমা হওয়ার সুযোগ থাকে সেখানেই এডিস মশার প্রজনন হয়। আপনাদের মেয়র হিসেবে, আপনাদের সেবক হিসেবে, আমি ঢাকাবাসীর প্রতি এটুকু নিবেদন করব, আপনারা আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।
তিনি আরও বলেন, আপনারা লক্ষ্য করবেন যে ঢাকা শহরের যে প্রতিকূল অবস্থা তার মধ্যে পূর্ণশক্তি আমরা প্রয়োগ করে রেখেছি। আমাদের কীটনাশক আছে, জনবল আছে, যন্ত্রপাতি আছে, সদিচ্ছা আছে, আন্তরিকতা আছে, নিষ্ঠা আছে। সবমিলিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি।
পরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস নগরীর ৫৯, ৫৮ ও ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এমন আরও বেশ কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি দক্ষিণ সিটি করপোরেশন পরিচালিত ঢাকা মহানগর শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের, মুন্সি আবুল হাশেম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/এসকেডি