চট্টগ্রামে গত দুই দিন ধরে থেমে থেমে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টিতে পাহাড় ধসের শঙ্কায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩১০ জনকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে গেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়ি এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের সরিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হচ্ছে। এটি বাস্তবায়নে এসিল্যান্ড, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ৯২টি পরিবারের প্রায় ৩১০ জনকে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আল হেরা মাদরাসা, রউফাবাদ রশিদিয়া মাদরাসা, ফিরোজ শাহ প্রাথমিক বিদ্যালয় ও লালখান বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে। পাশাপাশি ২০টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবকরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরত মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনার কাজ এখনও অব্যাহত রেখেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রে আনা পরিবারগুলোর মধ্যে খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে।

চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকার কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

কেএম/এমএইচএস