যুক্তরাষ্ট্রের টিকা উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সহায়তা চাইল বাংলাদেশ
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশের দক্ষ ওষুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠা করতে মার্কিন সরকারের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
বুধবার (২৮ জুলাই) ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরে মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্সিয়া বার্নিকাটের মধ্যে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে এ সহায়তা চান সালমান এফ রহমান।
বিজ্ঞাপন
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ এ ধরনের অংশীদারিত্বের জন্য ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। বার্নিকাট কোভিড-১৯ ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পিপিইর পাশাপাশি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন এবং থেরাপিউটিক্স উৎপাদন সম্প্রসারণের পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার দেবে।
বৈঠকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে।
দূতাবাস জানায়, বৈঠকটি ছিল গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠকের একটি ফলোআপ।
বৈঠকে উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ৫.৫ মিলিয়নেরও বেশি ডোজ সরবরাহ করার জন্য মার্কিন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। মহামারির প্রথম দিন থেকেই কোভিড-১৯ মোকাবিলায় দু'দেশের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কথা স্মরণ করে তিনি করোনা মোকাবিলায় ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য মহামারি-ব্যবস্থাপনা সরঞ্জামের বৈশ্বিক উৎপাদন বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।
বৈঠকে শ্রমিকের অধিকার ও সুরক্ষা, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও কৃষিক্ষেত্রে সহযোগিতা, বাংলাদেশে মার্কিন বিনিয়োগ, প্রযুক্তি স্থানান্তর এবং ঢাকা থেকে নিউইয়র্কে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট পুনঃস্থাপনসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
উপদেষ্টা দেশে শ্রমিকের অধিকার এবং সুরক্ষা আরও উন্নত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে নেওয়া বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ সম্পর্কে বার্নিকাটকে অবহিত করেন। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ সেক্টরে বাংলাদেশের নিরন্তর প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং আরও বেশি অগ্রগতি অর্জনে তাদের সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করার সাম্প্রতিক পদক্ষেপের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
উভয় পক্ষই স্বীকার করে যে, ২০২০ সালের অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠক দুটি দেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতাকে গতি দিয়েছে এবং তারা এই বছরের শেষের দিকে পরবর্তী অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব বৈঠক আয়োজনে সম্মত হয়েছে।
বৈঠকে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবদুর রউফ তালুকদার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম শহিদুল ইসলাম, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনআই/জেডএস