বার কাউন্সিল অধ্যাদেশে নির্বাচনের কোনো বিকল্প রাখা নেই। সেজন্য অধ্যাদেশটি সংশোধন করে এক বছরের জন্য অ্যাডহক কমিটি করার বিধান যুক্তের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২৬ জুলাই) মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ লিগ্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যান্ড বার কাউন্সিল (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স, ২০২১ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ‘১৯৭২ সালের বার কাউন্সিল অধ্যাদেশে বলা আছে, বার কাউন্সিলে ৩১ মের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। তিন বছরের জন্য কমিটি নির্বাচিত হবে। গত এক-দেড় বছর ধরে যে মহামারি অবস্থা চলছে, তাতে ইলেকশন করা সম্ভব হয়নি।’

মহামারি বা কোনো বিশেষ পরিস্থিতিতে ভোট না হলে বিকল্প কী হবে, সেটার কোনো ব্যাখ্যা অধ্যাদেশে ছিল না উল্লেখ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘সামহাউ ওই অধ্যাদেশের মধ্যে কোনো অল্টারনেটিভ ছিল না। যদি কোনো কারণে ইলেকশন না হয়, রাষ্ট্রীয় কারণে বা আইনশৃঙ্খলার কারণে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে—এসব ক্ষেত্রে কী করণীয় সেটা আগের আইনে ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘বার কাউন্সিলের ৩১মে ডেট শেষ হয়ে গেছে। উনারা একটা প্রস্তাব নিয়ে আসছেন। এটা হলো যে, এক বছরের অ্যাডহক কমিটি সরকার করে দিতে পারবে, এ রকম একটা বিধান নিয়ে আসছেন। কমিটি ১৫ সদস্যের হবে।তারা (কমিটি) অল টুগেদার এক বছরের বেশি থাকতে পারবে না। এক বছরের মধ্যে তারা ইলেকশন করে দেবেন।’

এসএইচআর/এসকেডি