মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক

সরকারি চাকরি আইন ২০১৮ অনুযায়ী, কোনো সরকারি চাকরিজীবী অবসরে যাওয়ার পর গুরুতর অপরাধে সাজা পেলে তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিক বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। এ বিধান সংশোধনে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় একটি প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তাতে অনুমোদন দেয়নি মন্ত্রিসভা। 

সোমবার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন সংশোধন সংক্রান্ত এ প্রস্তাব উত্থাপন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে তা অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, ‘সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর কয়েকটি ধারা সংশোধেনের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আইনের ৫১ (৪) ধারায় বলা হয়েছে- অবসর সুবিধাভোগী কোনো ব্যক্তি গুরুতর অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত বা কোনো গুরুতর অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত হলে, কারণ দর্শানোর যুক্তিসঙ্গত সুযোগ দিয়ে, সরকার বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ তার অবসর সুবিধা সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বাতিল, স্থগিত বা প্রত্যাহার করতে পারবে। এ ধারাটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছিল। ক্যাবিনেট (মন্ত্রিপরিষদ) তাতে রাজি হয়নি। ক্যাবিনেট আগেরটিই বহাল রেখেছে।

অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা সরকারি কর্মীদের বিদেশ যেতে বা অন্য কোথাও চাকরিতে যোগ দিতে অনুমতি লাগে না। এ ধারা সংশোধন করে সরকারের অনুমতি নেওয়ার বিধান যুক্তের প্রস্তাব করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভা তাও অনুমোদন করেনি। তবে আগের আইনে কিছু করণিক ভুল ছিল। সংশোধিত আইনে সেগুলো ঠিক করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এসএইচআর/আরএইচ