জীবন-জীবিকার তাগিদে বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনেও বিভিন্ন উপায়ে অনেকে রাজধানীতে ঢুকছেন। রিকশা ও পায়ে হেঁটেই রাজধানীতে প্রবেশ করছেন অধিকাংশ মানুষ। চেকপোস্টের মুখোমুখি হলেই তারা দেখাচ্ছেন নানা অজুহাত। 

আজ সোমবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর নয়াবাজার, তাঁতি বাজার ও বাবুবাজার ব্রিজের আশপাশের এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিধিনিষেধের চতুর্থ দিনে হেঁটে, রিকশায়, মোটরবাইক ও প্রাইভেটকারে মানুষ ঢুকছেন রাজধানীতে। এছাড়াও গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ রাস্তায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ বেশি দেখা গেছে। 

পরিবার নিয়ে রাজধানীতে ঢুকছেন আব্দুল মান্নান নামে এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর গিয়েছিলাম। আজ ঢাকায় ফিরছি। বংশালে একটি জুতার কারখানা আছে। সেখানে কিছু কর্মচারী গতকাল থেকে কাজ করছেন। তাদেরতো দেখাশোনা করতে হয়। নিজে না থাকলে কর্মচারীরা ভালোভাবে কাজ করেন না। সেজন্য বাধ্য হয়েই ঢাকায় ফিরতে হয়েছে। 

শরীয়তপুর থেকে কীভাবে এলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফেরিতে পদ্মা পার হয়েছি। এরপর আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত এসেছি ভেঙে ভেঙে। আব্দুল্লাহপুর থেকে কেরানীগঞ্জ কদমতলীতে এলাম রিকশা ও সিএনজিতে। এরপর বাবুবাজার ব্রিজের চেকপোস্ট হেঁটে পার হয়ে  রিকশা নিয়ে নয়াবাজার এসেছি। তবে এভাবে পরিবার নিয়ে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি যাতায়াত খরচ অনেক বেশি হয়েছে। 

নাজমুল হাসান নামে এক ব্যক্তি সদরঘাট এলাকায় রেস্টুরেন্ট চাকরি করেন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। সকালে চার জন মিলে একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করে ঢাকায় আসছি। প্রথমে ড্রাইভার আমাদের বলে দিয়েছে রাস্তায় পুলিশ ধরলে আমরা যেন বলি একই পরিবারের লোক সবাই এবং ডা. দেখাতে ঢাকা যাচ্ছি। রাস্তায় তিন-চার জায়গায় পুলিশ জিজ্ঞেস করেছে আমরা কোথা থেকে আসছি? কোথায় যাচ্ছি? গোপালগঞ্জ থেকে আসছি জানিয়ে বলেছি- ডা. দেখাতে ঢাকায় যাচ্ছি। এত লোকজন কেন জানতে চাইলে বলেছি- আমরা সবাই একই পরিবারের।

টিএইচ/এইচকে