চাঁদপুর সদর এলাকার একটি বাসায় আটকে রেখে তরুণীকে পতিতাবৃত্তি করতে দীর্ঘদিন ধরে বাধ্য করে আসছিল এক দম্পতি। সর্বশেষ এই অত্যাচার থেকে বাঁচতে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে সাহায্যে চান ভুক্তভোগী। পরে ৯৯৯-এর কলে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশ ওই ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করে।

রোববার (২৫ জুলাই) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় চাঁদপুর সদর থানার ওয়ারলেস স্কুলের পাশের একটি ভবন থেকে কান্নাজড়িত স্বরে এক তরুণী (১৮) ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার বাড়ি চাঁদপুরের মতলব থানায়। সাড়ে তিন মাস আগে তাকে মাহি এবং তার স্বামী রিপন তাদের বাসায় কাজের কথা বলে নিয়ে আসে। কিন্তু তাকে দিয়ে ঘরের কাজের পরিবর্তে জোর করে পতিতাবৃত্তি করানো হচ্ছে। এ ধরনের কাজ করতে অস্বীকার করলে তাকে মারধর করা হয়। সে কৌশলে এক খদ্দেরের ফোন থেকে টয়লেটে লুকিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করে। কলার ৯৯৯-এর কাছে তাকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায়।

আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি চাঁদপুর সদর থানায় জানিয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর সদর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।

পরে চাঁদপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো. রাশেদুজ্জামান ৯৯৯-কে ফোনে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তভোগী তরুণীকে উদ্ধার করেছেন এবং আটকে রেখে জোরপূর্বক পতিতাবৃত্তির অভিযোগে মাহি আক্তার বর্ষা ওরফে মাকসুদা বেগম মাহি (২৬) এবং তার স্বামী রিপন গনিকে আটক করেছেন।

এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এমএসি/এসএসএইচ