প্রতীকী ছবি।

২১ জুলাই। ঈদের দিন সন্ধ্যা। বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার এক কিশোরী বার্তা পাঠান। বার্তায় তিনি লেখেন, ‘আমাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে। মুক্তিপণ না দিলে দৌলতদিয়া পতিতালয়ে বিক্রি করে দেবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমাকে বাঁচান।’ 

বার্তা পেয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দকে দ্রুততম সময়ে কিশোরীকে উদ্ধারের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পরে প্রযুক্তির সহায়তায় ও প্রাথমিক তদন্তে মুক্তাগাছার ওসি জানতে পারেন মেয়েটি রাজবাড়ির পাংশা থানার একটি এলাকায় রয়েছেন। পরে থানা পুলিশ, জেলা পুলিশ, সাইবার পুলিশ ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান চালিয়ে শুক্রবার (২৩ জুলাই) রাতে রাজবাড়ী জেলার পাংশা থানার সরিষা ইউনিয়নের পিড়ালীপাড়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় ওই কিশোরীর কথিত প্রেমিক ও অপহরণকারী দুর্জয়কে আটক করা হয়।

এক বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ সদরদফতর জানায়, মেয়েটিকে উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- কয়েক মাস আগে তার সাথে অনলাইনে দুর্জয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে দুর্জয়ের সাথে পালিয়ে যান মেয়েটি। দুর্জয় মেয়েটিকে প্রথমে তার নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। তারপর, সেখান থেকে তার নানাবাড়িতে রেখে আসেন। এরপরই তাকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেন দুর্জয়।

পুলিশ সদরদফতর জানায়, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্জয়ের সঙ্গে এ অপকর্মে আরও কেউ জড়িত ছিল। তার পরিবার ও  এলাকার কোনো দুষ্টচক্র মেয়েটিকে বিক্রির হুমকি দিয়ে তার পরিবারের কাছ থেকে সুবিধা আদায় করতে চেয়েছে বলেও সন্দেহ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে তদন্ত করে অপরাধীদের খুঁজে বের করে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে। এই ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।

এআর/এইচকে