সরকারের পূর্বঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে রাজধানীর প্রবেশ পথ আমিনবাজার ব্রিজে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। চেকপোস্টে প্রতিটি গাড়ি ও যাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ কারণে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট।

পুলিশ বলছে, চেকপোস্টে যেসব যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারছে না, সেগুলোকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চেকপোস্টের কারণে অধিকাংশ যাত্রীকেই আমিনবাজার ব্রিজ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।

আমিন বাজার ব্রিজে পুলিশের অভিযান ও চেকপোষ্ট পরিচালনার নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিরপুর বিভাগ পুলিশের উপ-কমিশনার এ এস এম মাহতাব উদ্দিন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আপনারা জানেন আজ সকাল ছয়টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। নির্দেশনা মতে এ সময় কোনো যানবাহন চলাচল করবে না।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত অনেক যানবাহন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারেনি। আমরা গাড়িগুলো থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। যদি বিধিনিষেধের মধ্যে পড়ে, তো ছেড়ে দিচ্ছি। যে যানবাহনের যাত্রীরা সন্তুষ্টিজনক উত্তর দিতে পারছেন না, তাদের ঘুরিয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জের পথে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

দূরপাল্লার গণপরিবহন সম্পর্কে ডিসি মাহতাব বলেন, যখন দূরপাল্লার বাসগুলো রওনা দিয়েছিল তখন বিধিনিষেধ ছিল না। কিন্তু ঢাকায় প্রবেশের আগেই তারা বিধিনিষেধের আওতায় পড়ে গেছে। তাই যাত্রীদের নামিয়ে বাসগুলো টার্মিনালে ঢোকার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, যাত্রী সাধারণকে মাস্ক পরতে বাধ্য করা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নেই তাদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা যাত্রীদের হেঁটে যেতে বাধা দিচ্ছি না। কারণ দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের আটকে দিলে, এখানে ১০ মিনিটে লাখো মানুষ জমে যাবে। যা করোনার বিধিনিষেধ লঙ্ঘন। তাই তাদের ছেড়ে দিচ্ছি।

জেইউ/এমএইচএস