রাজধানীর সড়কে সরব হয়েছে পুলিশ
বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম দিনের প্রথম ঘণ্টায় রাজধানী ঢাকার সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল। তবে সে চিত্র পাল্টেছে দ্বিতীয় ঘণ্টায়, রাজপথে সরব হয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৭টা থেকে ৮টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজ মোড়, রাসেল স্কয়ার মোড়, প্রাধানমন্ত্রীর বাস ভবন এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ঘুরে দেখা যায়, বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর ভূমিকা পালন করছে পুলিশ। ওই রাস্তায় চলাচলরত প্রত্যেকটি গাড়িকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় এনে তারপর ছাড়া হচ্ছে। যারা বাইরে বের হওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ বলতে পারছেন না, তাদের গাড়ি জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের তথ্যমতে, রাস্তায় চলাচলকারীরা বিভিন্ন অজুহাতে বের হচ্ছেন। কেউ হাসপাতালে যাচ্ছেন, কোনো গাড়িচালক তার কর্মকর্তাকে সদরঘাটে পিক করতে যাচ্ছেন, কেউ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসায় যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন।
রাস্তায় কাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে রাসেল স্কয়ার মোড়ে দায়িত্ব পালন করা ধানমন্ডি ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জাহিদ আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ শুধু ডাক্তার ও চিকিৎসাসেবার সঙ্গে জড়িতদেরই ছাড় দিচ্ছি। ব্যাংকারদের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা এখনও পাইনি। আজ যেহেতু শুক্রবার, আর কারও অফিস থাকার কথা না। সুতরাং আমরা কাউকেই ছাড়া দিচ্ছি না।
এর আগে বিধিনিষেধের প্রথম ঘণ্টায় রাজধানীর কয়েকটি জায়গা ছাড়া কোথাও কোনো চেকপোস্ট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের সরব ভূমিকা দেখা যায়নি। রাস্তায় রিকশা, মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
বিধিনিষেধ শুরুর প্রথম ঘণ্টায় অলিগলিতে তেমন মানুষজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। তবে রাস্তায় নির্দ্বিধায় রিকশা, মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
প্রথম ঘণ্টায় দেখা গেছে, রাজধানীর শংকর ও সিটি কলেজ মোড়ের সামনে উপস্থিতি ছিল ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের। লঞ্চে যারা সদরঘাটে নেমেছেন তারা কোনো যানবাহন না পেয়ে হেঁটে যার যার গন্তব্যে ফিরছেন। অনেককে ঠাসাঠাসি করে ভ্যান ও রিকশায় যেতে দেখা গেছে। রমনা পার্ক এলাকায় শরীরচর্চা করতে দেখা গেছে শতাধিক মানুষকে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ (লকডাউন) চলছে। বিধিনিষেধ চলবে আগামী ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত।
এমএইচএন/এইচকে