স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম

চট্টগ্রাম নগরীতে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। বুধবার (২১ জুলাই) সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণে কাজ করছে চসিক-এর ৪ হাজার সেবক। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে নগরীর ৯৮ শতাংশ কোরবানির বর্জ্য অপসারিত হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

আজ (বুধবার) দুপুর সাড়ে তিনটার দিকে বর্জ্য অপসারণ কাজের অগ্রগতি দেখতে নগরীর ওয়াসা এলাকায় আসেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, নগরীকে চারটি জোনে ভাগ করে চট্টগ্রাম সিটির কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। চারটি জোনের দায়িত্ব পালন করছেন চারজন কাউন্সিলর। ১০ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলাম। সকাল থেকে সিটি করপোরেশনের সেবকরা নগরীকে পরিষ্কার করতে মাঠে নেমেছেন। শুধু প্রধান সড়ক নয়, অলিগলি থেকেও বর্জ্য অপসারণ করা হচ্ছে। 

এ সময় মেয়র দাবি করেন, আজ বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর প্রধান সড়কে বর্জ্য ছিল না। সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে নগরীর ৯৮ শতাংশ বর্জ্য অপসারণ হবে। 

তিনি বলেন, এরপর অলিগলিতে হয়ত কিছু ময়লা থাকতে পারে, সেগুলোও পরিষ্কার হয়ে যাবে। আগামীকালও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা মাঠে থাকবেন। কারণ, আগামীকালও কিছু কোরবানি করা হবে। আশা করি, নগরী পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে শতভাগ সফল হব। 

কোরবানির পশুর চামড়ার ব্যাপারে মেয়র বলেন, চামড়ার দাম খুব কম। চামড়ার বিক্রি না করতে পারলে অনেকে ফেলে পালিয়ে যায়। এ বছর মুরাদপুর, আগ্রাবাদসহ যেখানে যেখানে চামড়া বিক্রির জন্য স্তূপ করে রাখা হয়, সেখানে আমাদের লোক নিয়োগ করা আছে। যাতে কেউ চামড়া ফেলে পালাতে না পারে।

চট্টগ্রাম নগরীর সিটি গেট এলাকা থেকে লাভলেইন এলাকায় জরুরি কাজে এসেছেন সাইফুল মাহমুদ। আজ বিকেল ৪টার দিকে তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, নগরীর প্রধান সড়কের বেশ কিছু  স্থানে আমি বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখেছি। 

নগরীর পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা ইমু খান বিকেল ৪টার দিকে বলেন, নগরীর অলিগলিতে এখনও কোরবানির বর্জ্য রয়ে গেছে। 

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আরাফাতুল ইসলাম বলেন, কোরবানি শেষে সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে নগরীর বিভিন্ন সড়কে জলকামানের মাধ্যমে পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছে। 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, বর্জ্য অপসারণে ৪ হাজার সেবক ও ৩৩০টি গাড়ি মাঠে কাজ করছে। সিটি করপোরেশনের কর্মীরা জবাইকৃত পশুর ময়লা-আবর্জনা সংগ্রহ করে রক্ত ধুয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেবে, যাতে পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত থাকে। 

দ্রুত বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্যে চসিক দামপাড়া অফিসে কন্ট্রোল রুম খোলা রয়েছে। যার নম্বর : ৬৩০৭৩৯ ও ৬৩৩৬৪৯। নগরীর কোথাও ময়লা-আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখলে কন্ট্রোল রুমে জানালে দ্রুত তা অপসারণ করা হবে বলে সিটি করপোরেশন থেকে জানানো হয়েছে।

কেএম/এইচকে