পথে পথে ভোগান্তি তবু দলে দলে বাড়ি ফিরছে মানুষ
দুপুর গড়িয়ে সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেল হতেই রাজধানী ছেড়ে নাড়ির টানে দলে দলে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়ে তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকের সংখ্যাই বেশি। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে রাজধানী ছাড়ছেন তারা।
ফলে রাস্তা-ঘাটে মানুষ আর মানুষ, পা ফেলার জায়গা নেই। অফিস শেষে একসঙ্গে সবাই বের হওয়ার কারণে রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছে যানজট। একদিকে ভ্যাপসা গরম, অন্যদিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। রাস্তায় অসহনীয় জ্যাম। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
বিজ্ঞাপন
রামপুরা থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছেন পোশাককর্মী রিপন সরকার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারি ঘোষিত ছুটি আনুসারে আজ কোরবানি ঈদের আগে শেষ অফিস ছিল। সবাই একসঙ্গে অফিস থেকে বের হয়ে বাড়ি যাচ্ছে। রাস্তায় জ্যাম। সদরঘাট যেতে কতক্ষণ যে লাগবে কে জানে?
বাড্ডা থেকে যাত্রাবাড়ী যাচ্ছেন পোশাকশ্রমিক রেহানা খাতুন। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, কাল থেকে ঈদের ছুটি। স্যারকে বলে একটু আগে অফিস থেকে বের হয়েছি। আমার ছোট দুই ভাই-বোনকে নিয়ে বাড়ি যাব। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ করব।
তিনি বলেন, করোনার কথা বলে আমাদের বাড়ি যেতে মানা করা হচ্ছে। এটা ঠিক না। করোনা হলেও বাড়ি যাব। মা-বাবাকে দেখব। মরলে মা-বাবার কাছে গিয়ে মরব, তবু বাড়ি যাব।
রামপুরার একটি প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক জোবায়দা খাতুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়ি যাব, মার লগে ঈদ করব। সারা বছর কাজ করি, বছরের একবার ভালোভাবে মায়ের সাথে ঈদ করার জন্যই। যেভাবেই হোক তাই বাড়ি যাব।
এদিকে গত বছর ঈদে ঢাকা থেকে গ্রামে যেতে গার্মেন্টস শ্রমিকদের জন্য বিশেষ বাসসেবার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ফলে শ্রমিকরা রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ শিল্পএলাকা থেকে সহজেই বাড়ি যেতে পেরেছে। কিন্তু এ বছর কোনো উদ্যোগ নেয়নি বর্তমান কমিটি। এ বিষয়ে বিজিএমইএর কোনো নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এমআই/এইচকে