রাজধানীর গাবতলী সিগন্যালের এক পাশে কোরবানির পশুর হাট। অন্যদিকে মিরপুর সড়ক। এ সড়কই গাবতলী থেকে ঢাকার বাইরে যাওয়ার প্রধান সড়ক।

একদিকে কোরবানির পশুর হাট, অন্যদিকে ঘরমুখো মানুষের চাপ। দুইয়ে মিলে গাবতলী সিগন্যাল যেন যানের সমুদ্রে রূপ নিয়েছে। এ সমুদ্র পাড়ি দিতেই কেটে যাচ্ছে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময়।

সোমবার (১৯ জুলাই) বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, যানবাহনের জটলা গাবতলী সিগনাল থেকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকেছে। কিছুক্ষণ পরপরই হাটে পশু বোঝাই গাড়ি প্রবেশ করছে। আবার কিছুক্ষণ পর পর বের হচ্ছে। 

তাছাড়া, হাট থেকে কিছু সময় পরপরই কেউ না কেউ গরু-ছাগল নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে দ্বায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে মিরপুর রোড বন্ধ করে রাখতে হচ্ছে। আর এর ফলেই দুপুরের পর থেকে তৈরি হয়েছে ঢাকার বহির্মুখী গাড়ির জট। 

এতে গাড়ি চালক ও যাত্রীদের বিরক্ত হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে যানজটে অপেক্ষা না করে ঘরমুখো মানুষকে হেঁটেই রওনা হতে দেখা গেছে। অনেকে আমিনবাজার সেতু পার হচ্ছেন হেঁটেই। যানজটের কারণে তারা সেতুর ওপার থেকে গাড়িতে উঠবেন।

অনেকটা বিরক্তি নিয়েই ট্রাকচালক জসিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, বিকেল চারটার সময় শ্যামলী এসে জ্যামে পড়ি। এখন সাড়ে পাঁচটা বাজে। কেবল এসেছি সিগন্যালে। দুপুরের খাবারটা পর্যন্ত খেতে পারিনি। এখানে এমন ঘটনা মাঝে মাঝেই ঘটে, কেন ঘটে সেটাই বুঝি না। পুলিশ কী করে তাও বুঝি না।

ঈদে রাজশাহীতে নিজের বাড়িতে যাচ্ছেন সুমন শিকদার। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, সাড়ে চারটার বাসের টিকিট কেটেছিলাম। এখন সাড়ে পাঁচটা বাজে। জ্যামের কারণে বাস এদিকে আসেনি। কাউন্টার থেকে জানাল, বাস আমিন বাজার সেতুর ওই পাড়ে অপেক্ষা করছে। সেতু পার হয়ে বাসে উঠতে হবে। তাই হেঁটে যাচ্ছি।

যানজটের কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে গাবতলী সিগনালে দ্বায়িত্বরত দারুস সালাম ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক গাজী মাহবুব আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, দুপুরের পর থেকে যানজট শুরু হয়েছে। মূলত গরুর হাটে প্রবেশ করা ট্রাক ও গরু ক্রেতাদের জন্য রাস্তা ক্লিয়ার রাখতে হয়। এ কারণেই জট তৈরি হচ্ছে। ওই রোডে ঘরমুখো মানুষ, বাসসহ সব ধরনের যানবাহনের চাপ রয়েছে। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করছি পরিস্থিতি সামাল দিতে।

এমএইচএন/আরএইচ