পুলিশ ভেরিফিকেশনে যে বিষয়গুলো তদন্ত করা হয়
সরকারি চাকরি কিংবা পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে অথবা বিদেশে যাওয়াসহ নানা প্রয়োজনীয় কাজে পুলিশ ভেরিফিকেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বাংলাদেশে পুলিশের পক্ষে থেকে দেশের নাগরিকদের এ সেবা দেওয়া হয়।
অনেক সময় পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়ে সঠিক তথ্য না থাকার কারণে অনেককে পড়তে হয় বিপাকে। আবার অনেকে প্রতারণাও শিকার হন। তাই নাগরিকদের পুলিশ ভেরিফিকেশনের বিষয়ে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য দিতে সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের পক্ষ থেকে জনসচেতনতামূলক বার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এ বার্তায় পুলিশ ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে আগ্রহী প্রার্থীর কী কী বিষয় পুলিশ তদন্ত করবে তা বিস্তারিত বলা হয়েছে। কোনো ব্যক্তির ভেরিফিকেশনের জন্য ২১টি বিষয়ে তদন্ত করা হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
যে ২১টি বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করে
১। প্রার্থীর পুরো নাম
২। প্রার্থীর জাতীয়তা
৩। প্রার্থীর পিতার পুরো নাম ও জাতীয়তা
৪। প্রার্থীর স্থায়ী ঠিকানা (বাড়ির দলিলের কপি বা বিদ্যুৎ বিল/গ্যাস বিল/ওয়াসার বিল/টেলিফোন বিল, ইত্যাদির কপি)
৫। প্রার্থীর বর্তমান বাসস্থলের ঠিকানা
৬। প্রার্থীর বৈবাহিক অবস্থা
৭। প্রার্থী বিগত ৫ (পাঁচ) বছর যেসব ঠিকানায় অবস্থান করেছেন
৮। প্রার্থীর জন্ম তারিখ (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট বা জন্ম সনদ)
৯। প্রার্থীর জন্মস্থান (গ্রাম, ইউনিয়ন, থানা/উপজেলা, জেলা ইত্যাদি)
১০। প্রার্থী ১৫ (পনের) বছর বয়স থেকে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, ইত্যাদি) অধ্যয়ন করেছেন সেগুলোর তথ্য।
১১। প্রার্থী যদি কোনো সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, স্থানীয় সরকারের কোনো সংস্থা বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পূর্বে চাকরি করে থাকেন বা বর্তমানে কর্মরত থেকে থাকেন- সেসব তথ্য।
১২। প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধার পুত্র/কন্যা/নাতি/নাতনি কি না।
১৩। প্রার্থী অন্য কোনো কোটাধারী কি না।
১৪। প্রার্থীর কোনো ধরনের প্রতিবন্ধিতা আছে কি না।
১৫। প্রার্থী ফৌজদারি, রাজনৈতিক, বা অন্য কোনো মামলায় অভিযুক্ত, গ্রেফতার, বা দণ্ডিত এবং নজরবন্দি বা কোনো বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে বহিষ্কার হয়ে থাকলে তার তথ্য।
১৬। প্রার্থীর নিকট আত্মীয়-স্বজন (পিতা, মাতা, ভাই, বোন, আপন মামা, চাচা, খালু, ইত্যাদি বা শ্বশুরের দিকের অনুরূপ কোনো নিকট আত্মীয়) বাংলাদেশ সরকারের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত থাকলে সেসব তথ্য।
১৭। প্রার্থী কোনো মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বা নৈতিক স্খলনের রেকর্ড রয়েছে কি না।
১৮। প্রার্থী ইতোপূর্বে কোনো সরকারি চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছেন কি না।
১৯। প্রার্থী কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী বা নাশকতামূলক কার্যকলাপে জড়িত আছেন/ছিলেন কি না।
২০। প্রার্থীর চারিত্রিক ও সামাজিক অবস্থান।
২১। এছাড়াও আবেদনের ধরণ অনুযায়ী প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয় অন্য যেকোনো বিষয়ে তদন্ত হতে পারে।
এমএসি/আরএইচ