ঢাকার ৯ পশুর হাটে ৬ জনের করোনা শনাক্ত
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন নয়টি কোরবানির পশুর হাটে ব্র্যাকের অ্যান্টিজেন টেস্টে দুই দিনে ছয় ব্যক্তির করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বোরবার (১৮ জুলাই) রাতে ব্র্যাকের স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচির ম্যানেজার ডা. মিরানা জামান ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, রোববার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৩৬ জনের করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে চারজন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনিবার ৯টি বুথে ৫৬ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুজন করোনায় আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়।
মিরানা জামান জানান, আজ করোনা শনাক্তদের মধ্যে বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং (আফতাবনগর) পশুর হাটে একজন, উত্তরখান মৈনারটেক শহীদ নগর হাউজিং (আবাসিক) হাটে ২ জন এবং তুরাগ তীরে প্রথমবারের মতো বসা হাটে অন্য একজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ব্র্যাক জানিয়েছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরীক্ষায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অধীন নয়টি কোরবানির পশুর হাটে বিনামূল্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছে ব্র্যাক। আজ থেকে ঈদের আগের দিন (মঙ্গলবার) পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলবে।
তারা জানায়, শুধু ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ যেমন- জ্বর, সর্দি, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট রয়েছে, বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছেন, এমন ব্যক্তিরা নমুনা জমা দিতে পারবেন। এজন্য সরকার নির্ধারিত ফি দিতে হবে। আগে থেকে রেজিস্ট্রেশনের প্রয়োজন পড়বে না। পরীক্ষার ফল পজিটিভ হলে তা ৩০ মিনিটের মধ্যে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে। প্রতিটি সুরক্ষা কর্ণারে প্রতিদিন প্রায় ১৫০টি করে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।
এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের কোরবানির পশুর হাটগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘনকে উদ্বেগজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
রোববার দুপুরে সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত নিয়মিত করোনা বুলেটিনে অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি জড়িয়ে আছে, সেখানে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি বরাবরই বলি। ইতোমধ্যে সিভিল সার্জনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমরা স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরামর্শ দিয়েছি। যেহেতু কোরবানির পশুরহাটগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেখভাল করা হয়, আমরা জানি বিষয়টি নিয়ে তারাও নজরদারিতে আছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা সবারই সচেতনতা ও দায়িত্ব বোধের বিষয়টি আমরা গুরুত্বপূর্ণ মনে করি।
টিআই/জেডএস