সৌদি পদ্ধতিতে পশু কোরবানির সুযোগ দিচ্ছে দেশের বিভিন্ন অ্যাগ্রো ফার্ম। অনলাইনে ফার্মের পশুর ছবি বা ভিডিও দেখে অর্ডার করলেই হয়ে যাবে কোরবানি। টাকা পরিশোধ করতে হবে ব্যাংকে। কোরবানি দাতা চাইলে বাসায় পৌঁছে যাবে মাংস। কেউ চাইলে ভাগেও কোরবানি দিতে পারবেন।

এরকমই একটি ফার্ম হচ্ছে রাজধানীর কেরানীগঞ্জের রুহিতপুর এলাকার রাখালবাড়ি অ্যাগ্রো। পাঁচ বন্ধু মিলে স্বল্প পুঁজি নিয়ে এটি কয়েক বছর আগে শুরু করেছিলেন। করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর গত বছর থেকে অনলাইনে কোরবানির ব্যবস্থা করেছে ফার্মটি।   

রাখালবাড়ি অ্যাগ্রোর একজন উদ্যোক্তা মো. ফয়সাল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আপনি ঘরে বসে অনলাইনে আপনার পছন্দের পশুর ছবি বা ভিডিও দেখে আমাদের কাছে অর্ডার করতে পারবেন। অর্ডারের টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। 

তিনি বলেন, আপনার কোরবানির পশু আমরা জবাই করে মাংস পৌঁছে দেব আপনার বাড়িতে। আপনি চাইলে গরিব, দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ করে দেব। আমাদের ফার্মের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ সেবা দিচ্ছি। সাত ভাগে কোরবানি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে আমাদের ব্যবস্থাপনায়। 

ফয়সাল আহমেদ জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কোরবানির জন্য ১৬টি গরুর অর্ডার পেয়েছেন। গত বছর পেয়েছিলেন ১৩টির মতো। ভাগে কোরবানি দেওয়ার সংখ্যাও গতবারের তুলনায় বেড়েছ। 

এ রকম অফার নিয়ে কাজ করছে মেঘডুবি অ্যগ্রো। প্রতিষ্ঠানটির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তারেক মাহমুদ জানান, শুধু রাজধানী ঢাকা থেকে ৩৭০টি গরু কোরবানি দেওয়ার অর্ডার পেয়েছেন। এছাড়াও এক হাজার ৪৫০টি ভাগের অর্ডার পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের ২০০ টি গরু ও এক হাজার ২০০টির মতো ভাগের অর্ডার পেয়েছিল মেঘডুবি অ্যগ্রো। 

প্রতিষ্ঠান দুটির কাছ থেকে জানা গেছে, কোরবানির প্রতি ভাগের মূল্য ২০ হাজার ৯০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ভাগে একজনের নাম দেওয়া যাবে। নির্ধারিত গরুর ওজন অনুযায়ী আনুমানিক ৩০ থেকে ৩২ কেজি মাংস সম্পূর্ণ পরিচ্ছন্নভাবে প্যাকেট করে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ অফার কোরবানির ঈদের দিন, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনেও চলবে। 
 
এইউএ/আরএইচ