তীব্র গরম ও যানজটে ভোগান্তি চরমে
ঈদুল আজহা উপলক্ষে কঠোর লকডাউন শিথিল করেছে সরকার। এজন্য সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা। ঘরমুখী মানুষের ভিড় গাবতলীতে। তবে তীব্র গরম ও যানজটে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখী মানুষ।
রোববার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে রাজধানীর শ্যামলী, টেকনিক্যাল, মিরপুর-১ এবং গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় যানজটের তীব্রতা অনেক বেশি। মিরপুর-১ ও গাবতলী থেকে আসা যানবাহনগুলো রাজধানীর শ্যামলী, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ধানমন্ডি ও ফার্মগেট অভিমুখে যানজটের কারণে দাঁড়িয়ে আছে। আবার গাবতলীতে যানজটের কারণে ঢাকার বাইরে বের হতে পারছে না দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ি। তার ওপর তীব্র গরম মানুষের এ দুর্ভোগ বাড়িয়েছে আরও।
বিজ্ঞাপন
টেকনিক্যাল মোড়ে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল বেশি। সেই সঙ্গে গণপরিবহন ও বাড়িফেরা মানুষের চাপে যানজট দেখা দিচ্ছে। সকাল থেকেই রাস্তায় যানজট লেগে আছে। তবে আমরা আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। ভ্যাপসা গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে গেছে।
টেকনিক্যাল মোড়ে সাভার পরিবহনের যাত্রী মোখলেস বলেন, আমার দোকানের মাল কিনতে প্রায়ই আমি এ রুটে গুলিস্তান যাই। আজ যানজটের কারণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। অন্য সময়ও যানজট থাকে তবে এ রকম তীব্র যানজট এর আগে কখনো দেখিনি। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে গাড়ি।
গাবতলীতে শ্যামল নামে যাত্রী ঢাকা পোস্টকে বলেন, যাত্রাবাড়ী থেকে সকালে রওনা হয়েছি। এখন প্রায় ১২টা বাজে। কেবল গাবতলী আসলাম। যাবো সাতক্ষীরায়। তবে গাড়ি না পেয়ে ট্রাকের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তাই ট্রাকে করে যাব। রাস্তায় যদি এ রকম যানজট থাকে তাহলে বাড়িতে যেতে অনেক সময় লেগে যাবে। কাউন্টারের লোকজন বলল, ঘাটে নাকি প্রচুর গাড়ির চাপ। এজন্য তাদের গাড়িও সময়মত আসতে পারছে না। রোদ, গরম ও যানজটে অবস্থা বেহাল।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৪ জুন জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শে সারাদেশে ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’র সুপারিশ করা হয়। কমিটির সুপারিশের আলোকে ২৮ জুন থেকে ৩০ জুন তিন দিন সীমিত পরিসরে বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর ১ জুলাই থেকে দেশব্যাপী শুরু হয় কঠোর লকডাউন। টানা ১৪ দিন কঠোর লকডাউনের পর ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সাধারণ মানুষের বাড়ি যাওয়ার সুবিধার্থে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। তবে আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবারও কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
এসআর/এসকেডি