দুই সপ্তাহ পর কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে। শিথিল হওয়ার প্রথম দিন সকাল থেকেই কর্মজীবী বিভিন্ন মানুষেরা কর্মস্থলে যোগ দিতে বিভিন্নভাবে ছুটছেন। এর মধ্য দিয়েই রাজধানী আগের রূপে ফিরছে।

তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষেরা বলেছেন, বিধিনিষেধ শিথিল আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো উচিত। তাহলে ঈদ ও কর্মস্থলে মানুষ একটু স্বস্তিতে ফিরতে পারবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) পুরান ঢাকার নয়াবাজার, তাঁতিবাজার, বংশাল ও বাবুবাজার ব্রিজসহ আশপাশের এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার প্রথম দিনে রাস্তায় গণপরিবহন ও মানুষের ব্যাপক ভিড়। ফলে রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলায় এসব পেশার মানুষেরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যাচ্ছেন। 

একটি বেসরকারি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মনির আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিধিনিষেধের মধ্যে পুরান ঢাকার আরমানিটোলা থেকে প্রতিদিন তেজগাঁও রিকশায় যেতে হতো। ফলে দৈনিক ৪০০ টাকার বেশি ভাড়া লাগত। আজ থেকে বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় গণপরিবহন চলায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। 

তিনি বলেন, আমরা চাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু বাস বা গণপরিবহন চালু থাকুক। সব গণপরিবহন বন্ধ করে দিলে আমাদের মতো মানুষের জন্য অনেক সমস্যা। আমার মতো বেসরকারি চাকরিজীবীদের জন্য খুব কষ্ট হয়। তাই রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে অনুরোধ করব, বিধিনিষেধের মধ্যে যেন কিছু গণপরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করে।

বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনে কথা হয় বাসচালক নজরুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন,‘দীর্ঘদিন পর রাস্তায় গাড়ি চলাচল শুরু করছে। তবে পরিবহন শ্রমিকদের কথা চিন্তা করে আরও এক সপ্তাহ শিথিল করা উচিত।কারণ এ সপ্তাহে অনেকে বাড়ি চলে যাবেন। ঢাকা ফাঁকা হয়ে যাবে। ওই সময়ে তেমন যাত্রী পাব না। তাই সরকারকে বলব বিধিনিষেধ শিথিল যেন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়। না হলে পরিবার নিয়ে চলতে কষ্ট হবে।’

ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘গত রমজানের ঈদে বিধিনিষেধ থাকায় বাড়িতে যেতে পারিনি। পরিবার ছাড়া ঈদ করেছি ঢাকায়। মন খুব খারাপ ছিল। তবে এবার বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আগেই বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু বাড়ি থেকে কীভাবে ফিরব সেই চিন্তায় আছি।’

টিএইচ/ওএফ