দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে বুধবার মধ্যরাত থেকে আটদিনের জন্য কঠোর লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। ফলে রাজধানীর সড়কে আবারও স্বাভাবিক হয়েছে গণপরিবহন চলাচল, ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। তাতে  সড়কে গণপরিবহন চলাচল, দোকানপাট, শপিংমল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিতে পুরোনো রূপে ফিরেছে রাজধানী।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকালে রাজধানীর আসাদগেট, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, পান্থপথ রোডসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই সড়কে অফিসগামী মানুষের ভিড়। গন্তব্যে যেতে বাস স্টপেজগুলোতে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা। সকালে সড়কে একসঙ্গে গণপরিবহন, স্টাফবাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ থাকায় সিগন্যালগুলোতে তৈরি হয় যানজটের।

তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক আসন ফাঁকা রেখে বাসগুলো চলাচল করার সেই পুরোনো ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। অধিকাংশ বাসই যাত্রার শুরু থেকে যাত্রী পূর্ণ করে ছেড়ে আসছে। এতে মাঝপথে যারা অপেক্ষমাণ তাদের বাসে উঠতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। কিন্তু সবকিছুর পরও গণপরিবহন চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন অনেকে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আবু ইউসুফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, যেদিন থেকে ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজার খুলেছে সেদিন থেকেই আমাদের নিয়মিত অফিস করতে হচ্ছে। কিন্তু গণপরিবহন না থাকায় গত কয়েকদিন অফিসে পৌঁছাতে রিকশার ওপর নির্ভর করতে হচ্ছিল। সেজন্য ভাড়াও বেশি গুনতে হচ্ছে।

রফিকুল আজাদ নামের আরেক যাত্রী বলেন, এইমাসে যা বেতন পাব তার অধিকাংশই খরচ হয়েছে রিকশা ভাড়ায়। এছাড়াও ঈদের পর তো লকডাউন রয়েছেই, তখন তো আবার গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, তখনও আবার বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হবে।

এছাড়াও বরাবরের মতো আসন খালি না থাকায় হুড়োহুড়ি করে বাসে উঠতে না পেরে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন অনেক নারী চাকরিজীবী। আবার লকডাউনের সময়ে সাইকেলে চেপে গন্তব্যে যাওয়ার অভ্যাসেই রয়েছেন অনেক চাকরিজীবী।

আরএইচটি/জেডএস