ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে চিরুনি অভিযান চলমান থাকবে : মেয়র তাপস
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় চিরুনি অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
বুধবার (১৪ জুলাই) নগরীর ৩৬ নং ওয়ার্ডের তাঁতীবাজার মোড়ে অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ব্যারিস্টার তাপস বলেন, আমাদের নিজস্ব দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলাম। এখন আমাদের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছি। বর্তমানে আমরা মোট নয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। যার ফলও আমরা পেতে শুরু করেছি। গতকাল আমরা যে খবর নিয়েছি, তাতে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এখন নিম্নমুখী হতে শুরু করেছে। আমরা আশাবাদী চলমান চিরুনি অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে পারব এবং জনগণের সচেতনতার মাধ্যমে ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে আমরা মুক্ত হতে পারব। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।
মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং তা বছরব্যাপী চলমান আছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই গত এপ্রিল মাসের ১ তারিখ থেকে আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনা পরিবর্তন করেছি। এবার যেহেতু বৃষ্টি অনেক বেশি, তারপরও আমরা লক্ষ্য করেছি ডেঙ্গুর প্রকোপ গতবছরের চেয়ে একটু বেড়েছে।
তবে সামগ্রিকভাবে ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি রয়েছে। ২০১৮ ও ১৯ সালের চেয়ে ডেঙ্গু এখনো অনেক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, বলেন মেয়র।
এই সময় মেয়র ঢাকাবাসীকে আগের মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদুল আজহার নামাজ আয়োজন ও আদায়ের অনুরোধ জানান। এরপর তিনি ৩৬ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় এবং ৩১ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডের আগাসাদেক সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ ও নর্দমা পরিষ্কারকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের ও সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
এএসএস/জেডএস