ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া ২৮ অজগর সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে অবমুক্ত
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে জন্ম নেওয়া ২৮টি অজগরের বাচ্চাকে প্রাকৃতিক পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে অজগরগুলোকে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয় বলে ঢাকা পোস্টকে জানান
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচিব মো. রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় অজগরের ৩১টি ডিম থেকে ২৮টি বাচ্চা ফুটে। আজ সকালে বাচ্চাগুলোকে ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও ২০১৯ সালে ২৫টি অজগরকে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেন, ইকোপার্কের পাহাড়ে অবমুক্ত করা অজগরের বাচ্চাগুলো ২২ দিন বয়সী। বাচ্চাগুলো দুই ফুটের মতো লম্বা হয়েছিল।
এর আগে প্রায় ৬৭ দিন ধরে হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে রাখা অজগরের ডিম থেকে ২২ জুন এসব বাচ্চা ফুটেছিল চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায়।
২৩ জুন চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ ঢাকা পোস্টকে বলেছিলেন, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার একটি অজগর ৩১টি ডিম দিয়েছিল। ডিমগুলো আমরা খাঁচা থেকে সংগ্রহ করি। এরপর হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ৬৭ দিন ধরে বিভিন্ন তাপমাত্রায় রেখেছিলাম। তার মধ্যে ২৮টি ডিম ফুটে বাচ্চা হয়েছে। আর তিনটি ডিম নষ্ট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সাপের বাচ্চাগুলোকে চামড়া বদল না করা পর্যন্ত রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে ইনকিউবেটরে রেখেই। চামড়া বদল করার পর এগুলোকে খাবার দিতে হবে।
২০১৯ সালের জুনে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় হাতে তৈরি ইনকিউবেটরে ডিম থেকে অজগরের ২৫টি বাচ্চা ফোটানো হয়। যা পরে বন্য পরিবেশে অবমুক্ত করা হয়েছিল। সে সময় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ দাবি করেছিল বাংলাদেশে কোনো চিড়িয়াখানায় ইনকিউবেটরে সাপের ডিম সংগ্রহ করে বাচ্চা উৎপাদন এর আগে কেউ করেনি।
কেএম/জেডএস