ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র ৭ দিন। ত্যাগের এই উৎসবকে সফল করতে রাজধানীর ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন কোরবানির। তাই রাজধানীতে বসতে যাচ্ছে স্থায়ী-অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ২১টি পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর এসব হাটে ট্রাকে ট্রাকে আনা হচ্ছে কোরবানির পশু।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় দুটি ধর্মীয় উৎসবের একটি হচ্ছে ঈদুল আজহা। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘ত্যাগ’। এদিন মুসলমানেরা ফজরের নামাজের পর ঈদগাহে গিয়ে দুই রাকাত ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে স্ব স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উটের মতো পশু আল্লাহর নামে কোরবানি করেন। 

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে ও বুধবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর আমিন বাজার সেতুতে অবস্থান করে দেখা যায়, প্রায় প্রতি ৩০টি গাড়ির মধ্যে একটি করে কোরবানির পশুর ট্রাক রাজধানীতে প্রবেশ করছে। প্রতিটি ট্রাকেই ১০ থেকে ১৫টি করে পশু রয়েছে। ট্রাকের ওপর ছাদ করে পশুর সঙ্গে নেওয়া হচ্ছে খড়ও। প্রতিটি ট্রাকে কোরবানির পশু দেখভালের জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত সংখ্যক মানুষ। ঢাকায় আগত পশুগুলোর মধ্যে গরুর সংখ্যাই বেশি।

গরু ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, সারাবছর ব্যক্তি পর্যায়ে ও খামারিরা কোরবানির জন্য যে পশু পালন করেন, ব্যবসায়ীরা তা সংগ্রহ করে রাজধানীতে নিয়ে আসেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কয়েকজন খামারি মিলে একটি ট্রাক ভাড়া করে  নিজেরাই পশু আনেন। রাজধানীতে চাহিদা বেশি থাকায় ও ভালো দামে বিক্রি করা যায় বলেই বিক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে ঢাকার কোরবানি পশুর হাট। আর সেই লক্ষ্যেই ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে রাজধানীর হাটে আনতে শুরু করেছেন কোরবানির পশু। 

টাঙ্গাইল থেকে গরু নিয়ে আসা ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘দুই মাস আগে এলাকার বিভিন্ন খামারির কাছ থেকে ১০টি গরু কিনে রেখেছিলাম। সেগুলোই আজ ঢাকার গাবতলী হাটে তুলতে যাচ্ছি। যদিও করোনা, তরপরও আশা করি গরুগুলো বিক্রি করে যেতে পারব।’ 

বগুড়া থেকে ৭ জন মিলে ১৫টি গরু নিয়ে ঢাকায় এসেছেন। গাবতলী চেকপোস্টে দাঁড়িয়ে তাদের একজন আনিস সরদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘গরুগুলো আমাদের নিজেদেরই। গত বছর কোরবানির ঈদের পর থেকে এগুলোকে পালন করছি। পশুগুলো আফতাবনগর হাটের উদ্দেশে নিয়ে যাচ্ছি। এলাকার তুলনায় ঢাকায় ভালো দাম পাওয়া যায়। আশা করি ভালো দাম পাব।’ 

এমএইচএন/এইচকে