চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত ছয় মাস ১২ দিনে গত এক বছরের চেয়ে বেশি ইয়াবা ও অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ান র‍্যাব-৭। এ সময় নতুন মাদক স্কুফ ও আইস (ক্রিস্টাল মেথ) জব্দ করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে মাদক কারবারে জড়িত ৪৪৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,  চলতি বছরের প্রথম দিন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০৬ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। আর ২০২০ সালে ইয়াবা জব্দ করা হয়েছিল ২৩ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৫ জন। অর্থাৎ সাড়ে ছয় মাসেই গত বছরের চেয়ে দুই লাখ ৩৫ হাজার ৮৭১  পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। 

২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৮৩৫ কেজি গাজা উদ্ধার করা হয়েছে। গত এক বছরে দুই হাজার ৭৫ কেজি উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়াও নতুন মাদক আইস উদ্ধার করা হয়েছে ১.১১৫ কেজি। স্কুপ সিরাপ জব্দ করা হয়েছে ৬৮ টি।

এছাড়াও চলতি বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ পর্যন্ত আফিম উদ্ধার করা হয়েছে ৭.৬৯৬ কেজি, ফেনসিডিল ছয় হাজার ২২১ বোতল, বিদেশি মদ এক হাজার ১২৪ কেজি, বিদেশি বিয়ার ৩৫৮ ক্যান, দেশি মদ এক লাখ সাত হাজার ৪১ লিটার, গাঁজা বীজ আট কেজি ও গাজার গাছ তিন হাজার ৫৫০ পিস। 

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, এসব মাদক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে যাওয়ার আগেই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জব্দ করা হয়েছে। মাদক পরিবহনে নিত্য নতুন কৌশল ব্যবহার করছে মাদক কারবারিরা। কিন্তু র‍্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির কারণেই ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক জব্দের পরিমাণ বেড়েছে। ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের সংখ্যাও বেড়েছে। চলতি বছরের জুলাইয়ের ১২ তারিখ পর্যন্ত ৪৪৮ জনকে আটক করা হয়েছে। গত এক বছরে আটক করা হয়েছিল ৫১৮ জন।

র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। আমরা  মাদকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। এছাড়া গোয়ান্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সেই কারণেই ইয়াবাসহ নতুন মাদক জব্দের পরিমাণ বেড়েছে।

তিনি আরও বলেন, মাদক কারবারি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হলেও বেশ লাভজনক। যখনই মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত একটি চক্রকে ধরেছি, তখনই ওই স্থান দখলের জন্য আরেকটি চক্র সামনে চলে এসেছে। যেহেতু মাদক কারবারিতে লাভ বেশি তাই প্রতিনিয়ত নতুন নতুন চক্র যোগ হচ্ছে। 

র‍্যাব-৭ এর অধিনায়ক আরও বলেন, মাদক কারবারি নগদ লেনদেনে হয়ে থাকে। এর পাশাপাশি ব্যাংক ও হুন্ডির মাধ্যমে মাদকের টাকা বিনিময়ও হয়।

কেএম/ওএফ