চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার জানালী হাট রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে জাফর আহমদ নামে এক এসআই আহত হয়েছেন। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

রোববার (১১ জুলাই) রাতে চান্দগাঁও থানার জানালী হাট রেলস্টেশন ৮নং পুলেরগোড়া গলির বস্তিতে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, এই ঘটনায় চান্দগাঁও থানায় পুলিশ বাদী একটি মামলা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। 

গ্রেফতাররা হলেন- মো. রবিউল আলম (২৭), মো. সুমন আনিস (২৭), মো. মুছা প্রকাশ (ইয়াবা মুছা) (৫১), মো. ইয়াছিন (১৯), মো. আবদুল খালেক (৩৮), সৈয়দ আকবর (৪২) মো. খোকন (৪২), মো. ফারুক (৩৩) মো. ভুট্টু (৩৭), মো. ফারুক (৪১), মো. রায়হান (২০), মো. বাদশা (৩২), মো. বশির (৫৩), মো. ইমন (১৯) ও লিমন (২০)।  

চট্টগ্রামের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) আরাফাতুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রোববার রাতে সাড়ে আটটার দিকে  জানালী হাট রেলস্টেশন এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে করোনাকালে রাস্তায় অবস্থান না করে বাসায় চলে যেতে বলে। এরই একপর্যায়ে দুই পক্ষ পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ও রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করে তারা। এতে দায়িত্ব পালনরত চান্দগাঁও থানার এসআই জাফর আহম্মদ আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের ওপর হামলাকারীরা একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশাও ভাঙচুর করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেফতার করে। 

চান্দগাঁও থানার ওসি বলেন, বস্তি এলাকায় এমরান ও করিম নামে দুইজনের দুই গ্রুপের সদস্যরা আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছিল। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের ঘটনাস্থল ত্যাগ করার কথা বললেই তারা পুলিশের ওপর হামলা করে। তবে এমরান ও করিমের বিস্তারিত পরিচয় জানা যায়নি।

চান্দগাঁও থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১৫ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি।

কেএম/এইচকে